দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জুন: করোনা ভাইরাসের থেকেও গ্রাম বাংলায় এই মুহূর্তে মারণ আতঙ্ক রূপে উপস্থিত হয়েছে বজ্রপাত! বছরখানেক আগেও বজ্রপাত এতোখানি প্রাণঘাতী ছিলোনা বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিদরা। আবহাওয়া পরিবর্তন তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই, দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে বজ্রপাত। উপযুক্ত প্রচার (যদিও, বর্তমানে কিছুটা শুরু হয়েছে), পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন গ্রাম বাংলার ৮ থেকে ৮০ সকলেই! মাত্র ৭ দিন আগে (৭ ই জুন), দক্ষিণবঙ্গে একদিনেই ২৮ জনের (পরের দিন আরও ৪) মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে; আর রবিবার (১৩ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হল ৪ জনের। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে চারজনের গড় বয়স মাত্র ২৬! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ বছরের এক বালক এবং ১৭ বছরের এক কিশোরের। ঝাড়গ্রামে মৃত দুই যুবকের বয়স যথাক্রমে ৩৬ ও ৪২। অপরদিকে, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বালক এবং ঝাড়গ্রামের এক মহিলা।
প্রথম ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের খুদমার গ্রামের। রবিবার বিকেল নাগাদ ওই গ্রামে বজ্রাঘাতে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, মন্টু মাহাতো নামে বছর ১৭-র ঐ ছেলেটি মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। প্রাণ হারায় গরুটিও। চড়কাবনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মন্টুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকা! অন্যদিকে, ওই থানার গোকুলপুরে এদিন দুপুরে বাজ পড়ার শব্দের তীব্রতায় শেখ সাইফুল নামে ৯ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে! স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে ফাঁকা মাঠে ফুটবল খেলার সময় ওই এলাকাতে হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। ৭ জন বালকের মধ্যে ৫ জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেয়, কিন্তু ২ জন গাছের তলায় দাঁড়িয়ে পড়ে। বাজ পড়ে গাছের সামনেই! ঘটনার তীব্রতায় দু’জন বালক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে শেখ সাইফুল কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকদের অনুমান, বজ্রপাতের আওয়াজে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে। অন্য বন্ধুটির জ্ঞান ফিরলেও, সে শ্রবণশক্তি হারিয়েছে বলে জানা গেছে। তার চিকিৎসা চলছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনিতে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলেই সুনীল মাহাতো (৩৬) ও মদন রানা (৪২) নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন থানা এলাকায় সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে। বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে কিভাবে এড়ানো যায় সেই সমস্ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…