দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২৩ ডিসেম্বর: ভারতের প্রথম মুসলিম কন্যা হিসেবে অসাধ্য করলেন উত্তরপ্রদেশের সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। যুদ্ধবিমান বা ফাইটার জেট (Fighter Jet) চালাবেন মির্জাপুরের সামান্য টিভি মেকানিকের মেয়ে সানিয়া। চলতি বছরের NDA (National Defence Academy) পরীক্ষায় ১৪৯ র্যাঙ্ক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায় এনডিএ আকাদেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনিই হবেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মুসলমান মহিলা যুদ্ধবিমান চালক (Fighter Pilot)। উত্তরপ্রদেশের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। স্থানীয় পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন। টিভি মেকানিক শহিদ আলির কন্যা সানিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমি (এনডিএ)-র পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ১৪৯-তম স্থান পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের এনডিএ পরীক্ষায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০টি আসন ছিল। যেখানে মহিলাদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং ফাইটার পাইলট (Fighter Pilot)-দের জন্য ছিল মাত্র দু’টি আসন। সানিয়া নিজের যোগ্যতায় এর একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এই সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা এবং স্কুলের দিদিমণিরাও। এক সংবাদমাধ্যমে সানিয়া বলেন, “মহিলা যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দু’টি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথম বারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি।” সানিয়া এও জানান, যুদ্ধবিমানের চালক (Fighter Pilot) হওয়ার জন্য তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী। তাঁকে দেখেই তাঁর যুদ্ধবিমান চালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে। দুই সঙ্গী মোহনা সিংহ এবং ভাবনা কান্থের পাশাপাশি অবনী চতুর্বেদীকে ভারতের প্রথম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। মেয়ের সাফল্যে সানিয়ার মা তবসুম মির্জা বলেন, “মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামের গর্ব। সে প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।”