দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, নদীয়া, ১৯ এপ্রিল: প্রচন্ড গরমে আজও হাঁসফাঁস করছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে আজ (বুধবার) ৪৩-৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। একইসঙ্গে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে আজ (১৯ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, নদীয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও, তাপমাত্রা ৪১-৪৩ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করবে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। ইতিমধ্যে, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকটও। সবমিলিয়ে তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। আর, এসবের মধ্যেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়কের কম্বল বিতরণ ঘিরে বাংলা জুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কটাক্ষ করে ছড়াচ্ছে মজার মজার নানা মিম!
জানা যায়, নদীয়া জেলার করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে কম্বল বিতরণ করেছেন এলাকায়। আর, এ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকেরই অভিযোগ, প্রখর রোদের তাপে ওই এলাকার মানুষ হাঁসফাঁস করছেন, বহু অঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র জলকষ্টে ভুগছেন। এই সময় তাঁদের জন্য জলের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ বিধায়ক কোন যুক্তিতে কম্বল দিতে গেলেন? সেই প্রশ্ন এখন বিরোধীরা ছাড়া সাধারণ মানুষেরও মুখে মুখে ঘুরছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, ‘প্রকৃত সমাজসেবী…ওনার মানসিক সুস্থতা কামনা করি।” কেউবা লিখছেন, “দূরদর্শী MLA… প্রচণ্ড গরমের পর প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে বলেই…।” একধাপ এগিয়ে কেউ লিখছেন, “আসলে শীতকালে বেঁচে গিয়েছিল, তাই এখন দিয়ে দিচ্ছেন?” বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় অবশ্য এইসমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে দাবি করেছেন, “যাঁদের সমালোচনা করা অভ্যেস তাঁরা করবেন। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিধানসভার বিভিন্ন জায়গাতে বস্ত্র বিতরণ করেছি। ধুতি-কাপড়ের সঙ্গে বেশ কিছু কম্বল মজুত ছিল। যদি সাধারণ মানুষের কাজে লাগে সেই জন্য সেগুলি দিয়েছিলাম।” তিনি এও বলেন, “এটা অন্যভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু কম্বলের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু, সেখানে যে বাচ্চাদের জামাপ্যান্ট, বড়দের লুঙ্গি বিতরণ করা হল সেই নিয়ে কেউ কোনও কথা বলছে না।”