দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুন:একটি-দু’টি নয়, ‘রেল শহর’ খড়্গপুরের মৃত তৃণমূল কর্মী ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদের শরীরে দশটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর! শরীরে ৮-টি গুলি লেগেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুকের ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। তবে, এনিয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে চায়নি! তবে, ঘটনার তদন্তে নেমে খড়্গপুর মহাকুমা পুলিশ তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী সহ ৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন স্বয়ং পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার-ও। ইতিমধ্যে, ঘটনাস্থল অর্থাৎ ২০ নং ওয়ার্ডের ওল্ড সেটেলমেন্টের মাতা মন্দির সংলগ্ন এলাকাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। রাজ্য থেকে ফরেনসিক দল-ও আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, আজ, মঙ্গলবার, প্রসাদের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। খড়্গপুরের পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদ তৃণমূলের সমর্থক তথা কর্মী ছিলেন। সেই ভেঙ্কট-কে এত সামনে থেকে তিন আততায়ী গুলি করে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রেল শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকায় আছে চাপা উত্তেজনা!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার রাত্রি ১০ টা নাগাদ ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদ রাও নামে বছর ৪২ এর তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটে, খড়্গপুর ওল্ড সেটেলমেন্ট মাতা মন্দিরের সামনে। সেখানেই বসেছিলেন প্রসাদ। স্কুটিতে করে মুখঢাকা তিন যুবক এসে, প্রসাদ কে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে খড়্গপুর রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, গত সপ্তাহ দুয়েক চেন্নাইয়ে কাটিয়ে সোমবার-ই শহরে ফিরেছিলেন প্রসাদ। তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। একসময় শ্রীনু নাইডু’র ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রসাদ, বলছেন অনেকেই। সোমবার রাতে তাঁকে লক্ষ্য করে আট রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই, আক্রোশ বা শত্রুতা বেশ ভালোই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে! প্রসাদকে প্রাণে মেরে ফেলতে কোনোরকম ঝুঁকি নেওয়া হয়নি দুষ্কৃতীদের তরফে। পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে বেরিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। তবে, সিসিটিভি-তে খড়্গপুর শহর মুড়ে ফেলা হলেও, এই ধরনের ঘটনায় নিঃসন্দেহে আতঙ্কে শহরবাসী! পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, “প্রসাদ আমাদের দলের সক্রিয় সমর্থক ছিল। যদিও, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না! তবে, পুলিশ তদন্ত করছে। তাঁরাই বলতে পারবে। খারাপ লাগছে, ওর ছোটো সন্তান আছে। স্ত্রী আগেই মারা গেছে। আমরা সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…