দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ ডিসেম্বর: ফের সেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের (Extramarital Affair) অভিযোগ! গত কয়েকদিনে সারা রাজ্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তাল হয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া’র জেরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে আবার শীর্ষে আছে পিংলা! উত্তরবাড়ে মায়ের হাতে শিশুকন্যা খুন, দনীচক আর জগন্নাথপুরে দুই গৃহবধূর পলায়ন (একজনকে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ) ঘিরে এখনও চাঞ্চল্য আছে এলাকায়। এর মধ্যেই, ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফের সেই পিংলা! পিংলা থানার জামনা অঞ্চলের পিংলা গ্রামে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই দেওরের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে ‘আত্মহত্যা’ মনে হলেও, মৃত মহিলার স্বামী তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পিংলা থানার পুলিশ।

thebengalpost.net
মৃতা মৌসুমী মাইতি :

অভিযোগ, সোমবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন মৃতার স্বামী শ্রীমন্ত মাইতি। দুপুরে বাড়ি ফিরে দেখতে পান তাঁর স্ত্রী মৌসুমী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে! শ্রীমন্ত’র চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পিংলা থানায়। পরে পিংলা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অপরদিকে, মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ভাই নীলাদ্রি অর্থাৎ গৃহবধুর দেওরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীমন্ত’র অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী-কে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল ভাই, কিন্তু রাজি না হওয়ায়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, গ্রামবাসীরাও জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর দেওরের ৪-৫ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি বা অশান্তি হওয়ায় যুবক খুন করেছে তার বউদিকে। গ্রামবাসীদের চাপে নাকি একবার তা স্বীকারও করেছেন নীলাদ্রি! জানা গেছে, নিজের ৫ বছরের সন্তানকে নিয়ে মৌসুমী পালাতে রাজি হননি বলেই, তাঁকে খুন করেছে নীলাদ্রি। ইতিমধ্যে ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের (পুলিশ রিমান্ডের) নির্দেশ দেয় আদালত। বুধবার পুলিশ ওই ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। খুন নাকি আত্মহত্যা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, বুধবার রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত অভিযুক্ত যুবক (নীলাদ্রি মাইতি) পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেনি বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

thebengalpost.net
অভিযুক্ত নীলাদ্রি মাইতি :