দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মার্চ: রেলশহর খড়্গপুরের বছর ৪০ এর যুবকের মৃত্যু হল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (NRS Medical College and Hospital)। শুক্রবার সকাল ন’টা নাগাদ মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। মৃত যুবকের নাম সোনা মল্লিক (৪৩)। শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাঙালিপাড়ার বাসিন্দা ছিল সে। পরিবারের অভিযোগ, সোনা কাজ করত রেলশহরের ট্রাফিক সেটেলমেন্ট এলাকার সাট্টা ডন তপন দত্তের সাট্টা গদিতে বা সাট্টা দোকানে। সেখানেই কোনো শত্রুতা’র কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে সহকর্মীরা নির্মম ভাবে প্রহার করে সোনা-কে। সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত হওয়ার সাথে সাথে, মাথায় ও কানেও আঘাত পায় সোনা। এরপর, বৃহস্পতিবার রাত্রি ১২ টা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ি ফিরতেই তীব্র মাথার যন্ত্রণা অনুভব করে সে। তাকে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল, সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং তারপর মাথায় গুরুতর চোটের কারণে এন আর এসে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়! কলকাতাতেই তার দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পরিবারের তরফে তপন দত্ত সহ সোনার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রেল শহরে অবৈধ সাট্টা খেলা নিয়ে এর আগেও সাধারণ নাগরিকদের তরফে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু, সেসব তোয়াক্কা না করেই চলছে সাট্টা খেলা। আর, সংসার চালানোর জন্য সোনার মতো অসংখ্য যুবক সেই কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়! সোনার বাবা কানাইলাল মল্লিক এবং পরিবারের সদস্যরা তা স্বীকারও করেছেন। সংসারে আর্থিক টানাপোড়েনের কারণেই, গত ২ মাস হল তপন দত্তের ওই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সোনা। সোনার মায়ের অভিযোগ, “প্রতিদিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ সাট্টার গদিতে যেত সোনা। ফিরত পৌনে বারোটা – বারোটা নাগাদ। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ও তাই ফিরেছিল। কিন্তু, ফেরার পর শরীরের পোশাক খুলতেই দেখা যায়, সারা শরীরে ও মুখে আঁচড়ের দাগ। মারের দাগ। জিজ্ঞেস করতে বলে, ওখানের একজন কর্মচারী হিসাবের গরমিল করত, তা মালিককে জানিয়ে দেওয়ার পরই, শত্রুতা বাড়ে। মালিক সোনাকে অল্পদিনেই বিশ্বাস করে ফেলেছিল বলেও বাকি কর্মীদের রাগ ছিল। সেইসব কারণেই বেধড়ক মারধর করা হয়।” তিনি এও বলেন, “বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়াও করে। এরপরই বলে, মাথাটা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। মাথা টিপে দিই, গামছা বেঁধে দিই, তাতেও কমার বদলে বাড়তে থাকে! এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করলে, প্রতিবেশী ও পরিজনদের ডাকি। সকলে মিলে প্রথমে খড়্গপুর, তারপর মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সিটি স্ক্যান হওয়ার পর চিকিৎসকেরা বলেন, কানের পাশে রক্ত জমাট বেঁধেছেন, মাথায় গুরুতর আঘাত আছে। কলকাতার এন আর এসে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে দু’টো ইঞ্জেকশন, স্যালাইন চলার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয়!” শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ মৃত্যু হয় সোনার। এদিকে, পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই অবৈধ সাট্টা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে! থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও, ঘটনার পর থেকেই পলাতক তপন দত্ত ও তার কর্মচারীরা! পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…