দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ডিসেম্বর: “রবিবার রাতের বেলায় ওকে ফলো করে পেছন পেছন গিয়েছিলাম। দু’জনে দেখা করল! হাতেনাতে ধরে ফেললাম। তারপর, আর নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। মেরে ফেললাম”! মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই ‘খোলামেলা’ স্বীকারোক্তি শোনা গেল শালবনীর ওই প্রতিবন্ধী যুবক খুনে মূল অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী বাবলু মাহাত’র মুখে। শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ বাবলু মাহাত’র সাথে সাথে তাঁর স্ত্রী-কেও গ্রেফতার করেছে সোমবার রাতেই। দু’জনকেই মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল। তদন্তের জন্য পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজত (পুলিশ রিমান্ড) চেয়েছিল, বিচারক ৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটার অদূরে শিরষি গ্রামের যুবক সনাতন হেমব্রমের (২৫) রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনাতেই তদন্তে নেমে পিড়াকাটা ফাঁড়ি তথা শালবনী থানার পুলিশ মৃত সনাতনের সঙ্গে ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামী-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিলেন। সোমবার রাতে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে, প্রত্যন্ত শিরষি (শিরষা) গ্রামের শম্ভু হেমব্রমের ছেলে সনাতন হেমব্রম শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। চোখে কম দেখে এবং কানেও কম শোনে। ওই গ্রামেরই এক গৃহবধূর সঙ্গে প্রতিবন্ধী সনাতনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল! সেই সম্পর্কে বাধা হয়নি সনাতনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও। ক্রমেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়! মৃত যুবকের কাকা মঙ্গল হেমব্রম সোমবারই জানিয়েছিলেন, “গত কয়েক মাস আগে, গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ওকে মারধরও করা হয়েছিল।” তবে, সেই সম্পর্ক সনাতনকে মারধরের পরেও শেষ হয়ে যায়নি! গোপনে নাকি চলছিল- প্রেম, প্রণয়। সেই কারণেই সনাতন খুন হয়ে থাকতে পারে বলে পরিবারের অভিযোগ ছিল। পুলিশও সেই অনুমান করে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী বাবলু মাহাত’কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল। অবশেষে, জোড়ায় ভেঙে পরেন দু’জনই। বাবলু স্বীকার করেন, স্ত্রী’র সাথে হাতেনাতে ধরে ফেলে, ক্রোধের বশে সনাতনকে খুন করেছেন! মঙ্গলবার তাঁদের ৮ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য যে, সোমবার সকালে শিরষি গ্রামের অদূরেই পারাং নদীর পাড়ে এক ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল সনাতনের মাথা থেঁতলে যাওয়া এবং ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…