দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ মার্চ:দিব্যি পড়াশোনা করছিল মেয়েটা। নিচ্ছিল ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি। সেই মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ঘরের মধ্যে! শরীরে আঁচড় আর কালসিটে’র দাগ। পলাতক বাড়িতে থাকা এক রাজমিস্ত্রি। আর, তাতেই তার বিরুদ্ধে উঠছে খুনের অভিযোগ। এখনও, ময়নাতদন্ত হয়নি, তবে, ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছেনা! ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বাড়াগড়ের। মৃত ১৯ বছর বয়সী তরুণীর নাম স্পৃহা চক্রবর্তী। ঘটনায় যেন বছরখানেক আগের পিংলার জামনা গ্রামের কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ছায়া পাচ্ছেন মেদিনীপুর বাসী। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সর্বেশ্বর প্রামাণিক নামে মুর্শিদাবাদের ওই রাজমিস্ত্রির খোঁজে চলছে তল্লাশি। ওই রাজমিস্ত্রির তিনসঙ্গী-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও চালানো হচ্ছে। ঘটনায় এলাকাজুড়ে একদিকে যেমন শোকের পরিবেশ, ঠিক তেমনই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী!

thebengalpost.net
এই ঘরেই পড়াশোনা করছিল স্পৃহা:

জানা গেছে, স্পৃহা চক্রবর্তী নামে ওই মেধাবী পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার পর, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খাট জুড়ে বই, খাতা ছড়ানো! বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির লোক ডাকতে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাতে, গায়ে, গলায় আঁচড়ের দাগ ও কালসিটে। ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, আকস্মিক এই ঘটনায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত পড়ে পরিবারে! পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকমাস ধরে ডেবরার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের জন্য মুর্শিদাবাদের চার জন ওই তরুণীর বাড়িতেই ভাড়া থাকতো। কিন্তু, তাদের মধ্যেই সর্বেশ্বর প্রামাণিক নামে বছর ২৬ এর এক যুবককে ভোর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, স্পৃহার রুমের দরজা ছিল খোলা এবং বাড়ির গেটের একটি তালাও ছিল ভাঙা। শুধু তাই নয়, তার শরীরে নানা জায়গায় আঁচড়ের দাগ। পোশাকের কিছু জায়গা ছেঁড়া! তাতেই তৈরী হয়েছে সন্দেও। তবে, কি ধর্ষণ করার চেষ্টা হয়েছিল, বাধা দেওয়াতেই খুন হতে হয়েছে স্পৃহা-কে! স্নেহার পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকই এই ঘটনা ঘটাতে পারে। সঠিক তদন্ত করে বের করুক পুলিশ। সন্ধ্যা নাগাদ স্পৃহার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

thebengalpost.net
স্পৃহা-দের বাড়ি :

thebengalpost.net
ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃতদেহ: