তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ মার্চ: সাতসকালে আলুর জমি থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার! শরীরের একাধিক জাগায় ক্ষতের চিহ্ন। এলাকায় চরম উত্তেজনা। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মাথায় ধারালো কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করার ফলে এই মৃত্যু বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুনের অভিযোগে তুলেছেন মৃতের ছেলেও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার মদনচক গ্রামের। ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার সাত সকালেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
জানা যায়, চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে মদনচক এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, মুখ উপুড় অবস্থায় একটি দেহ পড়ে রয়েছে আলু জমির মধ্যে। চমকে ওঠেন তাঁরা! এরপরই, সাহস করে সামনে এগিয়ে গিয়ে বুঝতে পারেন, গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ৪৫ এর অশোক দিগারের রক্তাক্ত মৃতদেহ! স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান যে, মাথায় কোনো ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন। এরপরই, খবর দেওয়া হয় চন্দ্রকোনা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। এদিকে, মৃত ব্যক্তির ছেলে গণেশ দিগারে দাবি, “গ্রামের এক মহিলার সাথে বাবার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, এই নিয়ে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হতো ওই পরিবারের সাথে! বাবাকে বেশ কয়েকবার মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিল তারা। শেষমেশ বাবাকে ওরা মেরেই ফেলল!” এমনই দাবি মৃতের ছেলের। যদিও, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরই সঠিক কারণ বোঝা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।