দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ ডিসেম্বর: কত না সখ করে বাবা-মা দুই ছেলের নাম রেখেছিলেন ভোলানাথ আর লোকনাথ। দুঃস্বপ্নেও হয়তো তাঁরা ভাবেননি একদিন দাদা ভোলানাথের হাতেই খুন হতে হবে ভাই লোকনাথ-কে! অথচ, বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কত সহজেই দাদা (ভোলানাথ) স্বীকার করে ফেললেন, “আমার ভাই হয়। আমার গায়ে আগে হাত তুলেছিল। আমাকে মেরে, ঘরছাড়া করতে চেয়েছিল! নিজেকে বাঁচাতে মেরে দিয়েছি।” ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বুধবার সকালে মৃত্যু হল ভাই লোকনাথ পন্ডার। দাদা ভোলানাথ-কে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতকে বুধবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর আদালতে ভোলানাথ পন্ডা:

উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী এলাকার বছর ৩৫-এর যুবক লোকনাথ পন্ডা ছুরিকাহত হয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউ-তে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর ৪০-এর দাদা ভোলানাথ পন্ডার হাতে ছুরিকাহত হয়েছিলেন লোকনাথ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউ-তে তাঁর মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে, বিষয় সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ থেকেই মারামারি হয় বলে জানা গেছে। আর তা থেকেই দাদার হাতে খুন হতে হয় ভাইকে। ভাইকে খুন করার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত দাদা ভোলানাথ পন্ডা। বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ভাই লোকনাথ পন্ডাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন দাদা ভোলানাথ পন্ডা। তিনি জানিয়েছেন, “আমার গায়ে হাত তুলেছিল ভাই। মারার চেষ্টা করছিল। নিজেকে বাঁচাতেই ছুরি চালিয়েছি!” সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতেই ভাই এরকম করছিল বলে অভিযোগ। যদিও, তাঁকে হেফাজতে নিয়ে (৫ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত) ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। খুনের প্রকৃত কারণ কি, সেই রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে। এদিকে, লোকনাথের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মেদিনীপুর শহরে!

thebengalpost.net
লোকনাথ পন্ডা :