দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ মে:“নেতারা জেলে যাচ্ছেন, আধিকারিকরা জেলে যাচ্ছেন! কিন্তু, জেলে যাওয়ার আগে অবধি আপনারা টিকে থাকতে পারবেন তো? চোখ খুলে দেখুন, শ্রীলংকার দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসকদের কি অবস্থা হয়েছে জনগণের তাড়া খেয়ে! আপনাদের অবস্থাও যাতে সে রকম না হয়, সেই ব্যবস্থা করুন।” সোমবার ডেবরার বিএলআরও (BL & LRO) অফিস অভিযানে গিয়ে, এমনটাই হুমকি দিয়েছেন সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। সুশান্ত সহ কৃষক সভার নেতৃত্বরা এদিন কয়েক হাজার (প্রায় ৪-৫ হাজার) ভূমিহীন কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন। তারপর, বিএলআরও অফিসের সামনে জমায়েত করেন। দাবি, দু’বছর আগে যে ৩২০০ কৃষকের পাট্টার জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও হয়নি; অবিলম্বে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরই, ঘেরাও করা হয় বিএলআরও অফিস। বিশাল পুলিশবাহিনী অবশ্য আগে থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দিয়েছিল অফিস চত্বর।‌ তবে, সিপিআইএম-এর কৃষক সভার নেতৃত্বে এই বিশাল মিছিল দেখে ঘাবড়ে যায় পুলিশও। বাইরে তখন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকের হুমকির ঢেউ আছড়ে পড়ছে! শেষমেশ, কয়েকজন কৃষক প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন আধিকারিকরা।‌ আশ্বাস দেওয়া হয় পাট্টার বিষয়ে।

thebengalpost.net
ডেবরায় মিছিল:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের যে সকল ভূমিহীন কৃষক, মজুর, অসহায় মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানেল পাড়ে, খালের ধারে, খাস জমিতে বসবাস করে আছেন, তাঁদের পাট্টার জন্য দু’বছর আগে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়, তবে কাজের কাজ কিছুই হয়না! উপরন্তু, ওই সকল কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষের কাছে নাকি পাট্টার জন্য টাকা চাওয়া হত। তাই, সিপিআইএম- এর কৃষক সভার নেতৃত্বে এদিন বিএলআরও অফিসে অভিযান চালানো হয় নির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে। অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে সুশান্ত ঘোষ হুমকি দেন, “দু’বছর আগে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। অথচ, আজও পাট্টা পায়নি এই সমস্ত কৃষকরা। উল্টে অফিস থেকে ফোন করে তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে! আজকেই পাট্টার ব্যবস্থা করুন। নাহলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।” পরে অবশ্য কৃষক প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সমস্ত নথি পত্র যাচাই করে কৃষকদের পাট্টা বিলির কাজ শুরু করা হবে।

thebengalpost.net
অফিস ঘেরাও:

thebengalpost.net
সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ :