দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি: এক হাত দূরেই মুখ্যমন্ত্রী। এমন সুযোগ কেউ ছাড়ে! সটান মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “দিদি আমি একজন লেপ্রোসি (কুষ্ঠ) রোগী। খোঁড়া-ল্যাংড়া মানুষ। কোনোমতে লটারি বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার একটা পাকা বাড়ি হলে খুব ভালো হয়।” মন গললো মুখ্যমন্ত্রীর! সঙ্গে থাকা আধিকারিককে তাঁর নাম, ঠিকানা লিখে নিতে বলেন। বুধবার বিকেল ঠিক চারটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে সার্কিট হাউসের প্রবেশপথে ঘটনাটি ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে সার্কিট হাউসে যাওয়ার পথে কনভয় থামিয়ে মতবিনিময় করছিলেন উপস্থিত কর্মী-সমর্থক, অনুগামীদের সঙ্গে; সেই সুযোগেই মুখ্যমন্ত্রী’র কাছে নিজের আবেদন তুলে ধরেন মেদিনীপুর শহরেরই বাসিন্দা রঞ্জিত রানা।

thebengalpost.net
রঞ্জিত রানা :

জানা যায়, বছর ৪৫’র রঞ্জিত রানা’র বাড়ি মেদিনীপুর পৌরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের কামারপাড়া এলাকায়। কুষ্ঠ আক্রান্ত রঞ্জিত সার্কিট হাউসের কাছাকাছি লোধা স্মৃতি ভবনের সামনে লটারি বিক্রি করে সংসার চালান। ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন। শহরের জন্য যে আবাস প্রকল্প ‘হাউস ফর অল’, তাতে তিনি বাড়ি পাননি বলে দাবি রঞ্জিতের। তাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে নিজের ‘অনুযোগ’ তুলে ধরেন রঞ্জিত। ‘গোবেচারা’ রঞ্জিতের প্রতি রেগে না গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, “হ্যাঁ, তোমার তো বাড়ি পাওয়াই উচিত।” তারপরই, তাঁর (রঞ্জিতের) নাম-ঠিকানা লিখে নেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিককে। যদিও, এই বিষয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রানী দাস বলেন, “রঞ্জিত রানার নাম আবাস প্রকল্পে (হাউস ফর অল) নথিভুক্ত রয়েছে। টাকা এলেই ওঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রঞ্জিত ছাড়াও তাঁর ভাই অশোক রানা এবং পুরী রানার নাম নথিভুক্ত রয়েছে উপভোক্তাদের তালিকায়।”