দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল: মাঠের মাঝে দেবী মনসার অবস্থান। মাথার উপর কোন ছাদ বা আচ্ছাদন নেই। নেই কোনও বিগ্রহ বা মূর্তিও! পুজো করার জন্যও নেই কোনও পুরোহিত। ভক্তি সহকারে নিজের পুজো নিজেকেই করতে হয়। মন্দিরের পাশেই আছে প্রতিষ্ঠিত পুকুর। মনস্কামনা পূর্ণ হলে অনেকেই পুকুরে স্নান করে দন্ডী কাটেন। আবার পুজো করার আগে কিংবা মানত করার আগেও অনেকেই ওই পুকুরে স্নান করেন। চৈত্র মাসের বিশেষ দিনে (তৃতীয় মঙ্গলবার) মনসা দেবীর বার্ষিক পুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে এই মন্দিরে। দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন পুজো দিতে। বেশ কয়েক বছর ধরে জাঁকজমক আরও বেড়েই চলেছে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার (২ এপ্রিল, ১৯ চৈত্র) বার্ষিক এই মনসা পুজো ও মেলা আয়োজিত হয়। যদিও, মেলা চলবে মঙ্গলবার থেকে আরও ৭ দিন।
উল্লেখ্য যে, ভক্তদের কাছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত মাদপুর এলাকায় মাঠের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরের মনসা দেবী অত্যন্ত ‘জাগ্রত’ বলে, বছরের সবদিনই ভিড় থাকে এখানে। তবে, বছরের এই নির্দিষ্ট দিনে মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে হয় বিশাল মেলার আয়োজন, থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য এই দিন মন্দিরের সোজাসুজি দাঁড়াতে হয় ট্রেনকে। বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু ভক্ত আসেন এই দিন। এবারও, লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল। এমনকি, মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন অখন্ড মেদিনীপুরের হাজার হাজার মানুষ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরের এই মনসা মন্দির অত্যন্ত প্রাচীন বলে কথিত। মাঠের মাঝে এই মন্দির গড়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে আছে নানা লৌকিক ও অলৌকিক কাহিনী। এমনকি এই মন্দিরে মাথার উপরে ছাদ না থাকার কারণও নাকি স্থানীয়দের প্রতি দেবীর ‘স্বপ্নাদেশ’! সম্প্রতি, এই মন্দির প্রাঙ্গণ ও পুকুরটি প্রশাসনের উদ্যোগে নবরূপে সংস্কার করা হয়েছে। মন্দিরকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। দিন দিন এই দেবীর মাহাত্ম্য বেড়ে চলায় এই মুহূর্তে মাদপুরের এই মনসা মন্দির জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল হিসেবেও ক্রমশ গড়ে উঠছে। প্রতিদিন ভক্তদের আনাগোনা থাকলেও, বাংলা বছরের চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবীর কাছে পুজো দেওয়ার আশায় আগের দিন থেকেও বহু ভক্ত আসেন মন্দিরে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারও লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় জমেছিল এখানে। মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দেন বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মানুষজন। জানা যায়, সন্তান ধারণ থেকে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু হারিয়ে যাওয়া বা প্রিয়জন নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিংবা বিয়ে ও চাকরি-বাকরির মতো ঘটনায় দেবীর কাছে মানত করলে তিনি ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই মাদপুরের মনসা দেবী-কে কেন্দ্র করে আপামর মেদিনীপুরবাসীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা অসীম!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…