দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: বছর ২৩ এর নীলশেখর আর নেই! তবে, বেঁচে থাকলেন অনেকের শরীরে। নীলশেখরের শরীরের ৬-টি অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হল অন্যের শরীরে। ছেলেকে বাঁচাতে না পারলেও, তাঁর বাবার এহেন সিদ্ধান্তে মুগ্ধ আপামর মেদিনীপুর বাসী। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের কিসমত রাধাকান্তপুরের যুবক নীলশেখর মণ্ডল গত ১ এপ্রিল পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রথমে তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। গত ৭ এপ্রিল কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, নীলের ব্রেন ডেথ হয়েছে! তারপরেই যুবকের বাবা শেখরঞ্জন মন্ডল সিদ্ধান্ত নেন ছেলের অঙ্গদান করবেন। নীলশেখরের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হার্ট, লিভার, কিডনি, ফুসফুস-সহ আরও কয়েকটি অঙ্গ অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়।

thebengalpost.net
নীলশেখর মণ্ডল:

শনিবার যুবকের নশ্বর দেহ দাসপুরের বাড়িতে পৌঁছয়। শোকে ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা। তবে, ছেলেকে হারিয়েও তৃপ্ত বাবা-মা! তাঁর ছেলের নশ্বর দেহ চিরতরে হারিয়ে গেলেও, অবিনশ্বর আত্মা হয়তো শান্তি পাবে! অন্যের শরীরে বেঁচে থাকবেন নীল। বেসরকারি হাসপাতালে নীলশেখরের দেহের ৬-টি অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়। একাধিক ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপিত হয় বিভিন্ন অঙ্গ। যেখানে এই জেলা কিংবা রাজ্যে অঙ্গ দানের মত ঘটনা এখনও বিরল। সেখানে তরতাজা ছেলের অকাল প্রয়াণের পরও, নীলশেখরের বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা এমন সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এভাবে অন্তত বেঁচে থাকুক ছেলে, হয়তো এটাই চেয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা। আর, এই ঘটনায় তাঁদের বাহবা দিচ্ছেন আপামর মেদিনীপুরবাসী।

thebengalpost.net
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ :