দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ আগস্ট: ছুটির দিনে (রবিবার) টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে, ৩ বন্ধু একসঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমেছিল। তলিয়ে যায় ৩ জনই। স্থানীয়রা কোনমতে দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেও; একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মেদনীপুর শহর সংলগ্ন আমতলা ঘাট বা অ্যানিকাট ঘাটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই কিশোর মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বাংলা স্কুলের) নবম শ্রেণীর ছাত্র। বছর ১৪’র ওই কিশোরের নাম- রানা দাস (ডাক নাম- ঘন্টু)। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলা শহর মেদিনীপুরে!
জানা যায়, আজ, রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টিউশন থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণীর তিন ছাত্র মেদিনীপুর শহর লাগোয়া কংসাবতী নদীর আমতলা ঘাটে (বা, অ্যানিকাট ঘাটে) স্নান করতে নামে। তিনজনই ভরা নদীর জলস্রোতে তলিয়ে যায়! স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দুই ছাত্রকে উদ্ধার করলেও, একজন তলিয়ে যায়! এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার পুলিশ পৌঁছে ডুবুরি নামিয়ে ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় জলে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মৃত ছাত্রের নাম রানা দাস (১৪)। বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার এলাকায় বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্রের বাড়ি যথাক্রমে মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালী বাজার ও মল্লিকচকে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। তিন বন্ধু একই স্কুলে পড়া ছাড়াও, একসঙ্গে টিউশন পড়ত এবং বাংলা স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলত বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিন ছাত্রই এদিন বাড়িতে না বলে, টিউশন থেকে ফেরার পথে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। তিন জনই সাঁতার না জানায়, এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনা ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া! উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে কোতোয়ালী থানার পুলিশের তরফে।