দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুন: দিনের একেবারে ব্যস্ততম সময়ে জেলা শহর মেদিনীপুরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কালেক্টরেট মোড়ে রীতিমতো হুলস্থুল বেঁধে গেলো মঙ্গলবার। দেখা গেলো, বেলা ১১ টা- সাড়ে ১১ টা নাগাদ এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে ব্যক্তি মাঝশহরে পরিত্যক্ত পিপিই কিট পরে মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ পথচারীদের! দৃশ্যখানি বহু বছর আগের “রান” নামক হিন্দি সিনেমার পেটিকোট বাবা (বিজয় রাজ)’র কথা মনে করালেও ঘটনাটি বেশ আতঙ্কও ছড়ায় নিমেষে! উৎসাহী লোকজনের সাথে সাথে পৌঁছন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। খবর দেওয়া হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের। খবর পৌঁছে যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরেও। জানানো হয় কোতোয়ালী থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোতোয়ালী থানার পুলিশ কর্মীরা এসে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে, পিপিই কিট খোলানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু, এই ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

thebengalpost.in
পিপিই কিট পরে ভবঘুরে :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিপিই কিট সহ মেডিকেল এর যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করার দায়িত্বে আছে একটি এজেন্সি বা সংস্থা। তা সত্ত্বেও, মাঝেমধ্যেই শহরজুড়ে কিংবা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে ইতিউতি পড়ে থাকতে দেখা যায় পিপিই কিট সহ নানা বর্জ্য পদার্থ। যা রীতিমতো সংক্রামক হতে পারে! এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও, শহরের বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ সিস্টেম নিয়ে অভিযোগ উঠছে বারেবারে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, “ওই ঘটনার কথা পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর সাথে সাথেই, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, বায়োমেডিক্যাল যে এজেন্সি এর দায়িত্বে আছে তাদের আরো সচেতন হওয়া দরকার। এই ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। সম্প্রতি, করোনা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের পরিত্যক্ত বা বর্জ্য পদার্থ ফেলা নিয়ে বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই সমস্ত জিনিস ফেলার জন্য উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে, প্রতিদিন নিয়মিত ওয়েস্টেজ সিস্টেম বজায় রাখতে পারলে শহরবাসীর অভিযোগ থাকবেনা। আমরা প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টি বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”