মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল:তাঁত বস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলায় রাজ্যের মধ্যে এখনও অবধি সর্বাধিক টাকার বেচাকেনা’র রেকর্ড দখলে রেখেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা জেলা শহর মেদিনীপুর। অতিমারী আসার আগে ২০১৯-‘২০ বর্ষে রেকর্ড ৩৪২ লক্ষ বা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার বেচাকেনা হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের তাঁত মেলায়। যা এখনও অবধি রাজ্যের মধ্যে সেরা। অতিমারী কাটিয়ে ফের ২০২১-এর পুজোর সময় (২৮ সেপ্টেম্বর-১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত তাঁত বস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৩৪০ লক্ষ বা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার। আর, তাই ৬ মাসের মধ্যে আবারও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, বস্ত্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের পক্ষ থেকে। আজ, সোমবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে চৈত্রকালীন তাঁত বস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। চলবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
সোমবার বিকেলে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি’র উপস্থিতিতে এই চৈত্র কালীন তাঁত বস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি জানিয়েছেন, “রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই সবথেকে বেশি টাকার বেচাকেনা হয়। কারণ, মেদিনীপুরের মানুষ তাঁত বস্ত্র পছন্দ করেন। পুজোর আগে তাই এবার পয়লা বৈশাখ ও ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই চৈত্র কালীন তাঁত বস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলা। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় একশোটি স্টল এসেছে। আমরা আশা করছি এবার আগের সব রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবে।” উল্লেখ্য যে, প্রতিদিন (১৫ এপ্রিল পর্যন্ত) সকাল ১০ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত তাঁত মেলা খোলা থাকবে।