দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ নভেম্বর: কথাতেই আছে “চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী!” বরং জুতো চুরির জন্য চোরেদের ‘প্রিয়’ জায়গা নাকি ধর্মীয় স্থানগুলিই। এক সঙ্গে রকমারি জুতো সেখানেই। ফলে ভক্তরা যখন মন দিয়ে পুজো, প্রার্থনা বা সৎসঙ্গে ব্যস্ত থাকেন; নিশ্চিতে নিজের কাজটি সারেন কোনো এক জুতো চোর! তা বলে খোদ বিধায়কের জুতো চুরি! শুধু বিধায়কই নন, তিনি শাসকদলের পোড়খাওয়া নেতা থেকে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (MKDA) প্রধানও (Chairman)। তাতে অবশ্য চোরের বয়েই গেল! পায়ের নাগালে প্রথম যে ‘পাদুকা’ পেয়েছে, তা নিয়েই হয়তো দৌড় দিয়েছে সে! তবে, সোম সন্ধ্যার এই ঘটনায় সাময়িকভাবে বেশ বিপাকে পড়তে হয় বিধায়ককে। তার থেকেও বেশি অবশ্য ‘অবাক’ হতে হয় খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক তথা MKDA-র চেয়ারম্যান দীনেন রায়কে। মুখে কিছু না বললেও, মনে মনে তিনি ভাবতে থাকেন, এই ভর সন্ধ্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান-ক্ষেত্র থেকে জুতো চুরি! তাও আবার মেদিনীপুরের মতো ‘সুন্দর’ শহরে!
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার কিছু পরে ঘটনাটি ঘটে জেলা শহর মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে (বা, বিদ্যাসাগর হলে)। ওই জায়গায় তখন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। আমন্ত্রণ ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা প্রার্থী সুজয় হাজরা; বিধায়ক দীনেন রায়েরও। সন্ধ্যা নাগাদ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচার শেষে, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জনসংযোগ’ সেরে নেওয়ার সুযোগটা ছাড়তে চাননি সুজয় আর তাঁর ভোট-সেনাপতি তথা নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান দীনেন। সুজয়ের স্কুটিতে চেপেই দীনেন গিয়েছিলেন সেখানে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে এবং ‘জনসংযোগ’ সেরে ফুরফুরে মেজাজেই অনুষ্ঠান-স্থল থেকে বেরোন দীনেন-সুজয়। কিন্তু, বিপদ আর আপদ তো আর বলে কয়ে আসেনা! জুতো খুঁজতে গিয়ে মাথায় হাত বর্ষীয়ান বিধায়কের। কিছুতেই পাচ্ছেন না সদ্য কেনা পাদুকা-জোড়া! সঙ্গে থাকা কর্মীরাও তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করেন। কিন্তু, সব চেষ্টাই বিফলে যায়। ততক্ষণে নিজের লক্ষ্য পূরণ করে ওই ধর্মীয় স্থান থেকে ‘অধর্ম’ করে বেরিয়ে গেছেন তস্কর বাবু! অগ্যতা খালি পায়েই স্কুটিতে চেপে নান্নুরচকের জেলা কার্যালয়ে ফেরেন বিধায়ক দীনেন। ততক্ষণে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি হয়ে গেলেও, ভোটের আবহে জেলা কার্যালয়ে তখন নেতাকর্মীদের থিকথিকে ভিড়। কার্যত উৎসবের মেজাজ! প্রার্থী আর ভোট সেনাপতিকে ফিরতে দেখে উৎসাহ আরও বেড়ে যায় কর্মীদের। কিন্তু এ কি! ‘দীনেন দা’ খালি পায়ে কেন? উৎসুক-প্রশ্ন কর্মীদের মনে! ততক্ষণে অবশ্য পৌঁছে গেছেন তাঁদের (দীনেন-সুজয়ের) সঙ্গে থাকা কর্মীরাও। তাঁরাই পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন। “লিড কত হবে” আলোচনা মাঝেই ওঠে হাসির রোল! তড়িঘড়ি বর্ষীয়ান নেতার জন্য জুতো কিনতে দৌড়ন দুই যুব কর্মী।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…