দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর:একসময় মেদিনীপুরের প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। এবার নিজেই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁর ইলেকশন এজেন্ট কে হবেন? প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে রবিবার থেকেই। সোমবার সুজয় জানিয়ে দিলেন, তাঁর ইলেকশন এজেন্ট হতে চলেছেন মেদিনীপুর শহরের ১৭নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতা মৃণাল কান্তি চৌধুরী (কালো দা)। মেদিনীপুর জেলা আদালতের এপিপি পদেও রয়েছেন মৃণাল। উল্লেখ্য যে, এই মুহূর্তে ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃণাল চৌধুরীর মেয়ে নম্রতা চৌধুরী। তিনিও সুজয়-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবেই শহরে পরিচিত। চলতি সপ্তাহের ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (শেষ দিন ২৫ অক্টোবর) মনোনয়ন জমা দেবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন সুজয়।

thebengalpost.net
প্রচারে সুজয় হাজরা:

অন্যদিকে, সোমবার সকালে মাজারে চাদর চড়িয়ে, মন্দিরে পুজো দিয়ে জোরকদমে প্রচার শুরু করেন মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। সোমবার সকালে প্রথমে ২৩নং ওয়ার্ডের দেওয়ানবাবার চকের মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রার্থনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা এবারের উপনির্বাচনের প্রার্থী সুজয় হাজরা। দেওয়ানবাবার মাঠে কচিকাঁচাদের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য ফুটবল খেলাতেও মাতেন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ও সিএবি-র জেলা প্রতিনিধি সুজয়। এরপরই, নিজের ২২নং ওয়ার্ডের কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নেন তিনি। তারপর ওই ওয়ার্ডেরই আরও একাধিক মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর তিনি চলে যান ১৯নং ওয়ার্ডের বুড়ো শিব মন্দিরে। এই পুরো প্রচার পর্বে তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-র সঙ্গেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা, ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রানী দাস, ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌ রায় সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী তথা ছাত্র-যুব নেতৃত্বরা। নিজের চেনা গড়ে হাসিমুখে জনসংযোগ করতে করতে এগিয়ে যান সুজয়। পেছনে ব্যান্ড পার্টি। ‘ঘরের ছেলে’ প্রার্থী হওয়ায় যেন উৎসবের মেজাজ! সুজয় বলেন, “মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেই বুঝতে পারছেন, ফলাফল কি হতে চলেছে!”

thebengalpost.net
সস্ত্রীক মন্দিরে পুজো দিলেন: