দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ আগস্ট: “হঠাৎ ঘুমের মধ্যেই শুনি হুড়মুড়-দুমদাম শব্দ! ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়। তারপর দেখি জলে ভিজে যাচ্ছে মুখ, গোটা শরীর। এরপরই, কি একটা যেন ভেঙে পড়ল গায়ের উপর! আমি আঁতকে উঠে চিৎকার করি, বাঁচাও বাঁচাও বলে। পাশের ঘর থেকে মেয়ে-জামাই ছুটে আসে! আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।” শনিবার সকালে আতঙ্কিত চোখেমুখে এভাবেই ঝড়ের রাতের বর্ণনা দিলেন সত্তরোর্ধ্ব শেফালী দত্ত। শালুয়া এলাকায় জামাইয়ের বাড়িতে এসে, রাত্রি দশটা-সাড়ে দশটা নাগাদ শুয়েছিলেন তিনি! হঠাৎ বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে প্রকাণ্ড গাছ। অ্যাসবেস্টসের চাল আর প্লাইউড দিয়ে তৈরি ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে! অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয় ওই বৃদ্ধার। ফলস সিলিং ছিলো বলেই হালকা আঘাতের উপর-ই বড় বিপদ কেটে যায়। এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধি রওশন লামা জানিয়েছেন, প্রকাণ্ড ওই গাছটি শুকনো এবং দুর্বল হয়ে পড়েছিল অনেক আগেই। বনদপ্তরকে বারবার জানানো হয়েছিল। গাছের তলায় পর পর কয়েকটি বাড়ি আছে। বিষয়টি গুরুত্ব দেননি ডি এফ ও।
অপরদিকে, রেল শহরের জরাজীর্ণ এক কোয়ার্টারের উপরও ভেঙে পড়ে প্রকাণ্ড গাছ। গভীর রাতে রেল কর্মী ভেঙ্কট রাও এবং তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, সেই সময়ই ঘটে এই ঘটনা! সামান্য আহত হন স্ত্রী। এদিকে, আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। এদিকে, বাইরে চলছে ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় আর বৃষ্টি! দুর্যোগের মধ্যে কোনোমতে ফের ভাঙা কোয়ার্টারের এক কোণে বসে থেকেই রাত কাটান তাঁরা। ঘটনা-টি ১৩ নং ওয়ার্ডের নিমপুরা এলাকার। বি-টাইপ রেল আবাসন চত্বরেই ঘটে এই ঘটনা। সকালে উঠেই ভেঙ্কট রাও সংশ্লিষ্ট সমস্ত জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়াও, ১১ নং ওয়ার্ডের চন্ডীপুর এলাকায় ঝড়ের দাপটে পড়ে যায় বড় বড় গাছ। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। সেই খুঁটি থেকে বিপদজনকভাবে চলছে ইলেকট্রিক তার। প্রায় ১২-১৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন থাকে ওই এলাকা। কাউন্সিলর পারমিতা ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেন। উদ্ধার কাজ শুরু হয় বেলা ১১টার পর। এছাড়া, ডেবরা, সবং, পিংলা, বালিচক প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েকটি টালির ছাদ ও মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহর ও গ্রামীণ এলাকাতেও ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিপর্যয়ের চিহ্ন! শহরের সার্কিট হাউসের ভেতরে বড় গাছ পড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হয় রাত থেকে। নান্নুরচকে অরবিন্দ স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকাতেও বড় গাছ ভেঙে পড়ে। ধর্মার জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বড় গাছ, বাঁশের তোরণ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। গভীর রাতেই পৌরপ্রধান সৌমেন খানের নেতৃত্বে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। গ্রামীণ এলাকার ফড়িংডাঙা, পাঁচখুরি প্রভৃতি এলাকায় বাড়ি, প্রাচীর ভেঙে পড়ে। এছাড়াও, মেদিনীপুর সদর মহকুমার গড়বেতা, শালবনী প্রভৃতি এলাকায় বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। ইলেকট্রিক খুঁটিও ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘাটাল মহকুমার ক্ষীরপাই পৌর এলাকায় ঝড়ের তান্ডবে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক খুঁটি থেকে শুরু করে বড় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তার উপর। বিশেষ করে ক্ষীরপাই পৌর এলাকার ১ নম্বর, ৫ নম্বর, ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তার উপর কোথাও ইলেকট্রিকের খুঁটি ভেঙে পড়ে, কোথাও গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পানের উদ্যোগে পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা টিম সকাল থেকে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…