দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর: “পুজো বোনাস এবং অগ্রিম নিয়ে প্রতি বছরই বৈষম্য করা হয়। এবারও বৈঠকে একজন জিবি মেম্বার বললেন, ওনাদের একটা স্টেটাসের ব্যাপার আছে! মানে আমরা নন-টিচিং স্টাফ বলে আমাদের কোনও স্টেটাস নেই! শুধু তাই, শিক্ষাকর্মীদের মধ্যেও আবার কাউকে কোলের, কাউকে পিঠের করে দেখা হয়। আমরা নিজেরা মনে করি, আমরা শিক্ষাকর্মীরা সকলেই সমান! এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করা হোক। অটোনোমাস (স্বশাসিত) কলেজ বলে, আমাদের নন টিচিং স্টাফ কাউন্সিলও করতে দেওয়া হচ্ছেনা।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি ‘কর্মবিরতি’ চলাকালীন মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশেষত কলেজ পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে ঠিক এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কলেজের হেডক্লার্ক তথা অ্যাকাউন্টেন্ট অপর্ণা বেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নবগঠিত কর্মচারী পরিষদকে (নন টিচিং স্টাফ কাউন্সিল) স্বীকৃতি, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সরকারি নিয়ম মেনে পুজো বোনাস ও অগ্রিম বেতনের দাবিতে এবং সর্বোপরি স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের আলোচনার টেবিলে ডেকে এনে অপমান ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন মেদিনীপুর কলেজের (Midnapore College) স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা।
দুপুরের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও সামিল হন মেদিনীপুর কলেজের স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা। একইসঙ্গে, কলেজের স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের তরফে ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হাতে। যতক্ষণ না অবধি কলেজ পরিচালন সমিতি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছেন এবং কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি মেনে নেওয়া না হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও এদিন মেদিনীপুর কলেজের শিক্ষাকর্মীরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান। সন্ধ্যা নাগাদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন, “ওঁরা দাবিগুলি লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। তবে, এগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের একটু সময় লাগবে।” অপরদিকে, দাবিগুলি না মানা হলে, শুক্রবারও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষাকর্মীরা।