দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ অক্টোবর: খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ইতিমধ্যে, ১২-১৪ বছর জেল খেটেছেন। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর আচার-আচরণে খুশি হয়েই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Central Correctional Home) থেকে তাঁকে মুক্ত সংশোধনাগার (Open Correctional Home) এ পাঠানোর বা পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগারে ঠাঁয় হয়েছিল তাঁর। একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পরিতোষ ঘোষ নামে সেই আসামীকেই বৃহস্পতিবার গভীর রাত বা শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোর রাত থেকে পাওয়া যাচ্ছে না! তিনি পালিয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়ার পরই জেল কর্তৃপক্ষ জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, জেলা পুলিশের নেতৃত্বে, কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন এই মুক্ত সংশোধনাগার চত্বরে।
জানা যায়, নদীয়া জেলার ধুবুলিয়া এলাকার বাসিন্দা, মাঝবয়সী (বয়স আনুমানিক ৪০-৪৫) পরিতোষ ঘোষ একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। নদীয়া, দমদম প্রভৃতি একাধিক জেল ঘুরে তাঁর ঠাঁয় হয়েছিল মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগারে। সেখান থেকেই শুক্রবার ভোর আড়াইটা-তিনটা নাগাদ পালিয়ে যান তিনি! তবে, মুক্ত সংশোধনাগারের আসামী হয়েও তাঁর পালিয়ে যাওয়া ঘিরে নানা রহস্য ঘনাচ্ছে। কারণ, যে সকল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের প্রায় ১০-১২ বছরের বেশি জেল খাটা হয়ে যায় এবং তাঁদের আচার-আচরণ জেল কর্তৃপক্ষকে খুশি করে, তাঁদেরকেই সাধারণ জেল (সংশোধনাগার) থেকে মুক্ত সংশোধনাগারে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, ‘মুক্ত সংশোধনাগার’ এর নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৬-টার সময় সই করে বাইরে বেরিয়ে যেতে হয়। এরপর, রাত্রি ৮-টার সময় পুনরায় সই করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে, আসামী নিজের মতো করে ধর্ম, কর্ম, সংসার করতে পারেন। নিজের অন্নের সংস্থান নিজেদেরই করতে হয়, তাই মুক্ত সংশোধনাগারের বন্দীদের কাজকর্ম করা একপ্রকার বাধ্যতামূলক। গোটা রাজ্যে এরকম মুক্ত সংশোধনাগারের সংখ্যা প্রায় ৪-টি বলে জানা যায়। তার মধ্যে, মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগার (কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার বা সেন্ট্রাল জেলের পাশেই) অন্যতম। গত কয়েক বছর ধরে প্রায় ৪০-৫০ জন বন্দীর মতোই পরিতোষ ঘোষ-ও স্বাভাবিক নিয়ম মেনে সকল ৬টায় বেরিয়ে, রাত ৮টায় ঢুকতেন। বৃহস্পতিবারও তাই হয়েছিল। তারপর, ভোররাত থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি! এই ঘটনায় কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, “মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগার থেকে একজন বন্দী পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশিও চলছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহর মেদিনীপুর! শনিবার সন্ধ্যার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: "শুনে আনন্দিত হলাম বনশুয়োরের বাচ্চাটি শালবনী থেকে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেন নি। বিকেলে পুকুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: গত ৫ ডিসেম্বর 'রেল শহর' খড়্গপুরের বোম্বে…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলেও নজরকাড়া জীববৈচিত্র্য উদ্যান বা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক (Biodiversity…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২০ ডিসেম্বর: কিউএস আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং-২০২৫ (স্থায়িত্ব)- এ সারা দেশে…