দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জানুয়ারি: ঠিক তিন সপ্তাহ আগে, বিশ্বকাপ ফাইনালে রাতে (১৮ ডিসেম্বর, রবিবার) জেলা শহর মেদিনীপুরের অভিজাত এলাকা মিত্র কম্পাউন্ডে গুলি চালিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতায়ের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় ২০ দিন পর কলকাতা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলো মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দু’জনেরই বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিল। অবশেষে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে, তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে জেলা পুলিশ। শনিবার রাতে তাদের কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।‌ ধৃতদের রবিবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে, বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

thebengalpost.net
দুই দুষ্কৃতীকে তোলা হল আদালতে:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর, রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের অভিজাত এলাকা মিত্র কম্পাউন্ডে (স্টেশন সংলগ্ন) মধ্যরাতে শুট আউট বা গুলি চালানোর ঘটনার ঘটে। অভিযোগ, মুরগি ব্যবসায়ী রাজীব দাস টাকা কালেকশন করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে থাকা টাকা ছিনতাই করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। রাজীব দাসের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন দোকানের টাকা কালেকশন করে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন ঠিক তখনই শহরের মিত্র কম্পাউন্ডের কাছে পিছন দিক থেকে তিন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে প্রথমে মারধর করে এবং টাকার ব্যাগ কাড়াতে চায়। কিন্তু, তাঁর কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে না পেরেই শূন্যে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হলে, সাথে সাথে পুলিশ এসে পৌঁছয় এলাকায়। পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাজীব দাস। সেই ঘটনাতেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গতকাল রাতে কলকাতা থেকে জয়দেব ঘাঁটি (২১) ও আকাশ দোলুই (২০) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শহরের ধর্মা (লালদীঘি) এলাকায় তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর থেকেই দুই দুষ্কৃতী রাজীবের গতিবিধি নজরে রেখেছিল বা দীর্ঘক্ষণ ধরে ফলো করেছিল। ধৃতদের রবিবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে, ফোর্থ জে.এম (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) অলিভিয়া ভট্টাচার্য সবদিক বিবেচনা করে ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। দুই দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রহস্যোদ্ধার করতে চাইছে কোতোয়ালি থানা।