দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর: “আমি জ্ঞানী, আমি জ্ঞানী গড়ি স্বর্গ/ আমি বুদ্ধি আমি বিদ্যা পূজার অর্ঘ্য… আমি কন্যা আমি কন্যা আমি কন্যাশ্রী”! স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে রচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান। গেয়েছেন বিখ্যাত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। সেই গান যেন আজ সার্থক হল মেদিনীপুরের পিয়াসা’র কীর্তিতে! এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর (৪৭৭) পেয়ে বিদ্যালয়-কে আগেই গর্বিত করেছে পিয়াসা। আর, এবার নিজের ‘কন্যাশ্রী’ অনুদান থেকে পাওয়া পুরো ২৫ হাজার টাকাই বিদ্যালয়ের তহবিলে তুলে দিয়ে আরও একবার বিদ্যালয় তথা সমগ্র মেদিনীপুর-কেই গর্বিত করল সে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমরা ওর জন্য গর্বিত। ও আমাদের সার্থক কন্যাশ্রী!”
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা তথা মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত) এর বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ড. সালেহা খাতুন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ সালাউদ্দিনের একমাত্র কন্যা পিয়াসা পারভিন। কলা বিভাগ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করল সে। শুধু কলা বিভাগ নয়, পিয়াসা-র পাওয়া ৪৭৭ এবার বিদ্যালয়েরও সর্বোচ্চ নম্বর! ভবিষ্যতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে চায় পিয়াসা। তবে, শুধু পড়াশোনা নয়, সংস্কৃতি চর্চাতেও সিদ্ধহস্ত পিয়াসা। তার আবৃত্তি’র শিক্ষক শুভদীপ বসু-ও গর্ব অনুভব করলেন পিয়াসা-র এই মহানুভবতায়। বললেন, “আদর্শ কন্যা পিয়াসা। ও ভালো আবৃত্তিও করে। অনেক আশীর্বাদ ওর জন্য।” আর, লাজুক হেসে পিয়াসা বললো, “আমার বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকারাই আমার অনুপ্রেরণা! ওই অর্থ যদি বিদ্যালয়ের ভালো কাজে লাগে, তাই তুলে দিলাম।”