দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: “রামের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন! হিন্দু সমাজ এই ধরনের চালাকি, বদমায়েশি বরদাস্ত করবে না। এই সংহতির নামে পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় দাঙ্গা হয়েছে! আমি তো বলেছি, কোন হিন্দু সে যদি সত্যি সত্যি হিন্দুর বাচ্চা হয়ে থাকে, তাহলে এই ধরনের সংহতি মিছিলে যাবে না; যে মিছিলে হাঁটবে কিছু জেহাদি, রোহিঙ্গা আর তৃণমূলের আমলে করে-কর্মে খাওয়া উচ্ছিষ্টভোগী লোকজন!” রবিবার সাতসকালেই ‘রেলশহর’ খড়্গপুরের বোগদার চা-চক্র থেকে ঠিক এভাবেই আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত ‘সংহতি মিছিল’ বা সংহতি দিবসকে কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য যে, এর আগে ‘রামলালা’র অভিষেকের উদ্দেশ্যে ১০১ কেজি সুন্দরবনের মধু পাঠিয়েছিলেন সংসদ দিলীপ ঘোষ।

thebengalpost.net
খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষ:

আর এদিন বিজেপি সাংসদ তৃণমূল সহ বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করে বলেন, “দেশভাগের পর থেকে এরকম অনেক সংহতি মিছিল হয়েছে, কোন সংহতি হয়নি! উল্টে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফের তারা রাস্তায় নেমেছেন। আর এবার একেবারে রামের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন! হিন্দু সমাজ কোনমতেই এসব চালাকি বদমায়েশি আর সহ্য করবে না।” বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা আবার বিজেপি-র প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী থেকে শুরু করে ভারতে ‘হিন্দুত্বের জনক’ রূপে খ্যাত সাভারকর (বিনায়ক দামোদর সাভারকর)-কে পরোক্ষে ‘দেশদ্রোহী’ এবং ‘ইংরেজদের দালাল’ রূপে কটাক্ষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “যাদের নেতারা ইংরেজদের দালালি করেছেন, তাদের কাছ থেকে আমাদের হিন্দুত্ব আর রামের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি শিখতে হবে না। দিলীপ ঘোষ যদি ‘ভারতীয়’ হয়ে থাকেন তবে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি নিশ্চয়ই আস্থা থাকবে! সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখেই আমাদের মিছিল হবে।” সুজয়ের সংযোজন, “বিজেপি আসলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রামের নামে রাজনীতি করতে চাইছে। তাই, শংকরাচার্যদের মতে, অপূর্ণ মন্দিরেও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে এই ধরনের অধর্ম করা হচ্ছে।” সবমিলিয়ে সারা দেশের মতোই মেদনীপুরেও এখন রাম-রাজনীতি নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল!

thebengalpost.net
মেদিনীপুরে সুজয় হাজরা: