দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ মে:করোনা কাল পেরিয়েছে। কবেই উঠে গেছে ‘নাইট কারফিউ’। তা সত্ত্বেও জেলা শহর মেদিনীপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ‘মঙ্গল পান্ডে সরণী’ দিয়ে যাতায়াত ‘নিষিদ্ধ’ রাত্রি সাড়ে দশটার পর! নো-এন্ট্রি ব্যারিক্যাড আর পুলিশি প্রহরায় আটকে যেতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী বাসিন্দা তথা পথচারীদের। বাইক, সাইকেল, চারচাকা তো দূর অস্ত, হেঁটে যাওয়াও বারণ! ভোর ৫ টা অবধি বাসস্ট্যান্ড আর কালেক্টরেট মোড়ের মাঝামাঝি এই রাস্তা নো-এন্ট্রি জোন হয়ে যায়। তবে, এজন্য কোনো নির্দেশিকা জারি হয়নি। উত্তর নেই পুলিশ প্রশাসনের কাছেও। তবে কি, মৌখিক ফতোয়া? এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অনেকেই জানালেন, “২-৩ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে! কি কারণ, কিছুই জানিনা।”

thebengalpost.net
নো-এন্ট্রি :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মঙ্গল পান্ডে সরণী-তেই জেলা পুলিশ সুপারের বাংলো এবং কার্যালয়। সেই সূত্রেই কি রাত্রি সাড়ে দশটা বাজলেই ‘অলিখিত কারফিউ’ জারি করা হয় এই রাস্তায়? উঠছে প্রশ্ন। উত্তর নেই কারুর কাছে। এক বাসিন্দা বললেন, “মাওবাদী সময়েও এমন হয়েছে বলে মনে করতে পারছিনা! আর, করোনা’র সময়ে তো শুধু এই রাস্তা নয়, সর্বত্র-ই নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, তা তো কবেই উঠে গেছে।” যদিও, বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি। তবে, তাঁকে কড়া নিশানা করেছে বাম-বিজেপি। সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য, “সারা রাজ্য জুড়েই তো জঙ্গলরাজ চলছে! যার যা ইচ্ছে হচ্ছে, করছে। কারুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে নাকি কোনো অনৈতিক কাজ হচ্ছে, তা আমরা বলতে পারবনা!” একই সুরে জেলা বিজেপি’র সহ সভাপতি অরূপ দাস জানিয়েছেন, “ওনার যখন এতো ভয়, পুলিশের চাকরি করতে এসেছিলেন কেন? রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে ওনাকে বরখাস্ত করা!” এই বিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে রাজি নয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “পুলিশ প্রশাসনের বিষয়। না জেনে কোনো মন্তব্য করবনা!”