নবীন কুমার ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই প্লাবিত হয়েছিল মেদিনীপুর সদর ব্লক। ফের একবার টানা বর্ষণে কংসাবতী নদীর দুকূল প্লাবিত হয়ে ওই এলাকা প্রায় বিধ্বস্ত হলো! মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া ও ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নদীতীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনধারণের একমাত্র রসদ কৃষিজমি। সেই কৃষিজমি বিঘার পর বিঘা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘ পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এভাবেই তাঁরা নদী বাঁধ ভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছেন! কষ্টের ফসল বন্যার জলে বিসর্জন দিতে হচ্ছে। কর্ণপাত করেননি প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরাও। বহুদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন এলাকার মানুষজন। তবে, এবার তাঁরা কাছে পেলেন এলাকার বিধায়ককে। কলকাতা থেকে এসে, সোজা পৌঁছে গেলেন মেদিনীপুর সদরের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে। স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন নদীর ভয়ঙ্করী রূপ! এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েও, আশ্বস্ত করলেন। এসবের মধ্যেই মহিলাদের উচ্ছ্বসিত আবেগেরও সামাল দিলেন প্রিয় অভিভাবিকার মতোই!
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া ও ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নদী উপকূলবর্তী গোয়ালডাঙ্গা, ধ্বজিধরা, উপরডাঙ্গা, ভাটপাড়া, কুণ্ডলমনি প্রভৃতি গ্রামগুলোতে বসবাসকারী মানুষের অসহায়তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেন মেদিনীপুরের বিধায়িকা জুন মালিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন- বিডিও সুদেষ্ণা দে মিত্র এবং স্থানীয় শাসক দলের নেতৃত্বরা। ভয়াবহ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করার পর, ধেড়ুয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নদীর তীরে বসবর্তী ধ্বজীধরা গ্রামের কিছু পরিবারকে অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে বিধায়ক জুন মালিয়া কথা বলেন বিডিও সহ ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে। মালবাদি গ্রামের নন্দ হেমব্রম অভিযোগ করেন, “বহু দিন ধরে আবেদন করেও সরকারি প্রকল্পের বাড়ি মেলেনি। বন্যার কবলে বাড়িতে জল ঢুকে গেছে, থাকবো কোথায়?” বিধায়কের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেও, সামলে নিয়ে বিডিও বলেন, “বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।” অবনী বেরা নামে অসহায় এক চাষি বিধায়ককে কাছে পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার অনেক জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে! আমি কি করব?” তাঁকে আশ্বস্ত করেন বিধায়ক। একদিকে যেমন নানান অভাব-অভিযোগ, অন্যদিকে তেমনই চাঁদড়া, জামনিতে গ্রামের মহিলাদের উচ্ছ্বসিত আবেগ ও সংবর্ধনার মুখোমুখিও হলেন বিধায়ক জুন মালিয়া। চাঁদড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উপরডাঙ্গা, ভাটপাড়া, কুন্ডলবনী এলাকা পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বয়ং জুন মালিয়া বললেন, “প্রবল বর্ষণে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কংসাবতী উপকূলবর্তী কৃষিজীবী মানুষজনদের জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। তাঁরা আমাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে বিষয়গুলি জানিয়েছেন। আমার কর্তব্য মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। বিষয়গুলি অবশ্যই দেখবো। নদী বাঁধের স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে জেলা পরিষদ ও রাজ্যের নির্দিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। গ্রামীণ সড়ক সারানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…