দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ সেপ্টেম্বর:তিলোত্তমার উপর নৃশংস ও পাশবিক নির্যাতনের ২৭ দিন অতিক্রান্ত। এখনও মেলেনি ‘সুবিচার’। তবে, চিকিসকদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই জারি রেখেছেন বাংলা তথা সারা দেশের নাগরিক সমাজও। আর তাই, ১৪ আগস্টের ‘রাত দখল’-র পর ফের একবার রাত দখল হল হাতে হাত মিলিয়ে, বিচারের দাবিতে। অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরতে এবার সঙ্গী হয়েছিল একটি মোমবাতি কিংবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট। “বিচার পেতে আলোর পথে” হাঁটল বাংলা তথা দেশের অসংখ্য গ্রাম-শহর। আলোর পথে হাঁটল ক্ষুদিরাম, প্রদ্যোৎ, প্রভাংশু, বিমল, দীনেশ, অনাথ, জ্যোতি, মৃগেনদের স্মৃতি ধন্য ‘সংগ্রামী’ মেদিনীপুরও।
প্রসঙ্গত, ‘বিচার পেতে আলোর পথে’-র ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা (West Bengal Junior Doctors’ Front)। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদিন পথে নামেন আপামর মেদিনীপুরবাসী। রাত্রি ৯-টা নাগাদ শহর মেদিনীপুরের পঞ্চুরচক সংলগ্ন ‘ঐতিহাসিক’ মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট রোডে পৌঁছে যান আট থেকে আশি, অসংখ্য মেদিনীপুরবাসী। কলেজ কলেজিয়েট রোড জুড়ে, রংতুলি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় প্রতিবাদের ভাষা। জ্বালানো হয় মোমবাতি। কন্ঠে বিচারের দাবিতে দৃপ্ত স্লোগান। ১৪ আগস্টের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির পর ফের একবার প্রতিবাদে মুখরিত হলেন আপামর মেদিনীপুরবাসী। শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী থেকে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরা পথে নেমে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে গর্জে ওঠেন। রাত্রি ১০টা নাগাদ মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঐক্যবদ্ধ মিছিল কলেজ কলেজিয়েট রোড থেকে বেরিয়ে শহর মেদিনীপুর পরিক্রমা করে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অরিজিৎ সিং-এর “আর কবে” গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে প্রতিবাদ-ধ্বনি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্তরে। বিচার না মেলা পর্যন্ত ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার শপথও নেন আপামর মেদিনীপুরবাসী। সব শেষে, জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আর ‘অন্ধকার’ নয়, অঙ্গীকার করা হয় ‘আলোর পথে’ হেঁটে যাওয়ার!