দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: বাড়ি বীরভূমের পাইকর থানার মিত্রপুরে। রাজমিস্ত্রির কাজের সুবাদে জেলা (পশ্চিম মেদিনীপুর) শহর মেদিনীপুরের গোলাপিচক এলাকায় নিজের দাদা সহ অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শহরের উপকন্ঠে পালবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে কাজ চলছিল। সেখানেই কাছ সেরে গভীর রাতে নিজের বাইকে করে ফিরছিলেন বছর ৩৩-র যুবক। পালবাড়ির জীবনদীপ কমপ্লেক্সের কাছে রাস্তার পাশে একটি ইলেকট্রিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা মারলে, ঘটনাস্থলেই সিট্টু খান নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রাতঃভ্রমণকারীদের মারফত খবর পেয়ে ভোর পাঁচটা (শনিবার) নাগাদ কোতোয়ালী থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। শনিবার দুপুর নাগাদ ওই যুবকের নাম-পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জানা যায়, বীরভূম জেলার পাইকর থানার মিত্রপুর এলাকার বাসিন্দা সিট্টু খান, তাঁর দাদা বিট্টু খান সহ অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে কাজের সূত্রে শহরের গোলাপিচক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে পালবাড়ি এলাকায় চলছিল একটি বাড়ি তৈরির কাজ। চলছিল বলে শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন বিট্টু। ওই বাড়ির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মালিকপক্ষের চাপ ছিল। ভাই সিট্টু কাজ সেরে, বাড়ির মালিকের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত কথা বলে অনেক রাতে পালবাড়ি থেকে গোলাপিচকের দিকে ফিরছিলেন বলে শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন বিট্টু খান। ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা বলে তাঁর অনুমান। যদিও, ভাইয়ের যে দুর্ঘটনা হয়েছে শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত তা জানতে পারেননি দাদা বিট্টু সহ সঙ্গীরা। তবে, ফোন সুইচ অফ হয়ে যাওয়ায়, একটা বিপদের আশঙ্কা যে তাঁরা করছিলেন; তাও শনিবার বলেন বিট্টু খান, জগন্নাথ মান্না প্রমুখ। এরপরই, সকাল ১১টার পরে মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালী থানায় ফোন করলে, তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলা হয়। সেখানেই সিট্টুর দেহ শনাক্ত করেন দাদা বিট্টু সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয়দের দাবি, বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ইলেকট্রিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা মেরে, কয়েক মিটার দূরে ছিটকে পড়েন ওই যুবক। মাথায় হেলমেট না থাকায়, তীব্র আঘাতে ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়দের দাবি। শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃত যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তারপরই ভাই সিট্টুর দেহ নিয়ে বীরভূম পাড়ি দেন দাদা বিট্টু সহ অন্যান্য সঙ্গীরা! বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও সিট্টুর স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান আছে। আছে দাদার পরিবারও। শনিবার দুপুরে বিট্টু বলেন, “বাড়িতে খবর দিয়েছি। কিন্তু, দেহ নিয়ে পৌঁছনোর পর, বাড়ির সকলকে যে কিভাবে সামলাব, তা উপরওয়ালা-ই জানেন!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…