দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি: দিন চারেক আগেই বাম কর্মচারী সংগঠনের এক সদস্যকে ‘লাথি’ মারার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরেই ঘটেছিল নজিরবিহীন সেই ঘটনা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেই সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধেই হাতাহাতিতে জড়ানোর অভিযোগ উঠলো মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরের। মেদিনীপুর মেডিক্যালের ‘মাতৃমা’ বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে বিধায়ক জুন মালিয়া’র প্রবেশের পরই হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা নেতা সুব্রত সরকার। জেলার রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তেমন গুরুত্ব না থাকলেও, বিধায়ক জুন মালিয়া’র ঘনিষ্ঠ বৃত্তেই তাঁর অবস্থান বলে জানা যায়। যদিও, এদিনের সম্পূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে জুনের অগোচরেই!
প্রসঙ্গত, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে শনিবার দুপুরে ‘মাতৃমা’ বিভাগ পরিদর্শন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক জুন মালিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। তবে, শিশু ওয়ার্ডের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নষ্ট হতে পারে বলে, হাসপাতালের সুপারভাইজার এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা জুন মালিয়া অনুগামী সুব্রত সরকার সহ বেশ কিছু কর্মীকে ঢুকতে বাধা দেন। এমনকি, সাংবাদিকদেরও বাধা দেওয়া হয় ওয়ার্ডে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে। আর, এতেই আপত্তি করেন সুব্রত! হাসপাতাল সুপারভাইজারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। তর্কবিতর্কের মধ্যেই সুপারভাইজারের দিকে তেড়ে যান সুব্রত। হাতে করে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই, তাঁকে (সুব্রত-কে) পাল্টা আক্রমণ করার জন্য ছুটে যান ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষীরা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে, উপস্থিত বাকিদের হস্তক্ষেপে কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য স্বাভাবিক হয়। পরে সুব্রত বলেন, “সাংবাদিকদের কেন বাধা দেওয়া হবে? এতেই আমি আপত্তি করি!”
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘণ্টায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল সহ জেলার হাসপ জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৭ জন, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ৬ জন এবং খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। সবমিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত জেলার ৬২ জন ARI (Accute Respiratory Infection) শিশু চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে। সর্বাধিক ৩২ জন মেদিনীপুর মেডিক্যালে, ১৪ জন ঘাটালে, ৮ জন ঘাটালে এবং ডেবরা ও শালবনী সুপার স্পেশালিটিতে যথাক্রমে ৬ জন ও ২ জন শিশু চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে, ২ জন শিশু আইসিইউ-তে এবং ১ জন শিশু ভেন্টিলেশনে আছে বলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি জেলায়। কিছু নমুনা পাঠানো হয়েছে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে যে সমস্ত শিশুরা ভর্তি হচ্ছে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের দ্রুত সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। একমাত্র যদি শিশুদের মধ্যে কো-মর্বিডিটি থাকে, তবেই কিছু ক্ষেত্রে আইসিইউ বা ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়ছে। তাই, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। একইসঙ্গে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার, মাস্ক ব্যবহার প্রভৃতির উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং শিশুদের জল ও তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে এই সময়ে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…