দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুলাই: “মানবাধিকার কমিশন তখনই আসে যখন প্রশাসন সন্ত্রাসের বিষয়টি স্বীকার করেনা, সহযোগিতা করে না এবং অভিযোগ নেয় না”। মেদিনীপুর শহরে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে বললেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, গত ৩-৪ দিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। অত্যাচারিত ও ঘরছাড়াদের মুখ থেকেও শুনছেন নানা অভিযোগের কথা। এ প্রসঙ্গেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, “বিজেপির পক্ষ থেকে হাজার হাজার অভিযোগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলির যাচাই করতেই কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজ্যে এসেছেন। রাজ্যে ভোট পরবর্তী সময়ে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া ছিলেন, এখনও হাজার খানেক মানুষ ঘরছাড়া আছেন।”

thebengalpost.in
দিলীপ ঘোষ :

উল্লেখ্য যে, পূর্ব মেদিনীপুরের সন্ত্রাস কবলিত নন্দীগ্রাম পরিদর্শন করার পর, গত বুধবার (৭ জুলাই) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দলটি পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছেছে। প্রথমে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে অত্যাচারিত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর, যথাক্রমে খড়্গপুর গ্রামীণ, কেশপুর, গড়বেতা প্রভৃতি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখনও তাঁরা এই জেলায় আছেন। এ নিয়ে দিলীপ বলেন, ভোট-পরবর্তী সময়ে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিষয়ে তথ্য যাচাই করতে অর্থাৎ খোঁজখবর নিয়ে, অভিযোগগুলি যাচাই করতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা প্রতিটি জেলা পরিদর্শনে এসেছেন। অন্যদিকে, পি এ সি (Public Accounts Committee)-র চেয়ারম্যান পদটি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী’র পরিবর্তে মুকুল রায়’কে দেওয়ার কারণে, বিজেপির বিধায়করা অন্যান্য কমিটিগুলি থেকেও পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে দিলীপ বলেন, “সরকার যখন পি এ সি’র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে অনৈতিক আচরণ করলো, তখন আর এই সরকারকে সহযোগিতা করে কি লাভ! আমাদের কোনও পদ লাগবেনা।”