thebengalpost.net
দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ:

শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি: আজই (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফিরল মেদিনীপুর কলেজের (Midnapore College, Autonomous) মেধাবী ছাত্রীর নিথর দেহ। অন্বেষা (অন্বেষা ভুঁইয়া)-র ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্তে স্তব্ধ সবংবাসী! প্রসঙ্গত, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত্রি ১০-টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকার একটি মেস থেকে মেদিনীপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অন্বেষা ভুঁইয়া-র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেসের দরজা ভেঙে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর দেহ পৌঁছয় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বাড়িতে। আর তারপরই শোকে ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম!

thebengalpost.net
দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয় :

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্বেষা-র বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার (মোহাড় অঞ্চলের) বাসুলিয়া গ্রামে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে জেলা শহরের ওই মেসে থাকত মেদিনীপুর কলেজের সোসিওলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অন্বেষা। শনিবার রাতে দরজা খুলে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানার পুলিশ। মেসের ওই রুমে অন্বেষা-র সঙ্গে আরো দু’জন থাকতো। তবে, শুক্রবার তারা বাড়ি চলে যায়। পাশের রুমের ছাত্রীরা রাতের খাবারের জন্য অন্বেষা-কে ডাকাডাকি করতে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। বারবার ডাকার পরও দরজা না খোলায়, তারা চিৎকার শুরু করে। এরপর, প্রতিবেশীরাও ছুটে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায় গলায় ওড়না জড়িয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে অন্বেষা! তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে।

জানা গেছে, অন্বেষা-র বাবা একজন গ্রামীণ চিকিৎসক। তাঁর দুই মেয়ে। অন্বেষা-ই বড়। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বাড়ি গিয়েছিল সে। তবে পুজোর পরদিনই (বৃহস্পতিবার) মেদিনীপুরের মেসে ফিরে আসে অন্বেষা। ফের আজ অর্থাৎ রবিবার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তবে, তার আগেই এই ঘটনা! পুলিশ ও প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান, প্রেম-ঘটিত কোনো সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে মেদিনীপুর কলেজের এই মেধাবী ছাত্রী! ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

thebengalpost.net
দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ: