মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: আদালতের নির্দেশে বজায় থাকবে ‘স্টেটাস কো’ (Status Quo)। বাংলা অর্থ করলে- স্থিতাবস্থা। মেদিনীপুর বাসীর প্রশ্ন, “তবে কি অবহেলিত এবং জরাজীর্ণ অবস্থাতেই পড়ে থাকবে ঋষি রাজনারায়ণ বসু’র স্মৃতিধন্য বাড়ি?” বেনজির ‘লড়াই’ শেষে, দিনান্তে এই আশঙ্কাতেই যেন সিলমোহর পড়লো। মাঝখান থেকে কলেজিয়েট স্কুলের ৮ জন ছাত্র আহত হল! মেদিনীপুর কলেজের রক্ষণাবেক্ষণের ‘উদ্যোগ’ বৃথা গেল। সর্বোপরি, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যমণ্ডিত দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ পুড়লো! মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন ও মেদিনীপুর পৌরসভার মধ্যস্থতায় যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে দুই পক্ষকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় থাকবে। অর্থাৎ, যে অবস্থাতে ওই ভবন বা আবাসন ছিল, তেমনই থাকবে। মেদিনীপুর কলেজের ২০১৩ সাল সম্পর্কিত ‘ব্যাখ্যা’ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, স্টেটাস কো বা স্থিতাবস্থার নিয়ম মেনে চলতে হবে, দুই পক্ষকেই জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “হেরিটেজ এই ভবন ‘সংরক্ষণ’ এর কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে। একইসঙ্গে স্টেটাস কো মেনে চলার নির্দেশ-ও দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের অর্থাৎ মামলা শুরু’র সময়ের স্থিতাবস্থা ধরলে, এই ভবন সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তায়। কারণ, সেই সময় এটি ছিল প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার।” মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “মামলা আদালতে বিচারাধীন। তার আগে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। মেদিনীপুর কলেজ কোনভাবেই এর রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার পায় না! তা সত্ত্বেও অকারণে দখল করার চেষ্টা হয়েছিল। আহত হল আমাদের ছাত্ররা!” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরের কলেজ কলেজিয়েট রোডে বেনজির লড়াই শুরু হয়েছিল দু’পক্ষের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে কলেজিয়েট স্কুলের ৮ জন ছাত্র কমবেশি আহত হয়। একজনের আঘাত গুরুতর ছিল বলে জানা যায়। যদিও, ৮ জনকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই ঘটনায়, মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক শেষে মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, “জরাজীর্ণ এই ‘হেরিটেজ’ ভবন অবিলম্বে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল। আমরা সেজন্যই আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই বিষয়টির উপর আলোকপাত করলেও, স্টেটাস কো বজায় রেখে কাজ করার কথা জানিয়েছিল। আর, এখানেই গোলমাল বাধে। এই মামলায় যেহেতু স্কুল কর্তৃপক্ষকে পার্টি করা হয়নি, তাই আমরা ভবনের কোনরূপ পরিবর্তন না করেই তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা রক্ষণাবেক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তবে, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি! আমাদের বলা হয়েছে, একেবারে সুস্পষ্ট নির্দেশ ছাড়া আবাসন চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। আমরা পুনরায় তাই আদালতে যাচ্ছি।” ততদিন কি অবহেলিত-ই থাকবে ‘সমাজ সংস্কারক’ তথা মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম ভারতীয় প্রধান শিক্ষক ঋষি রাজনারায়ণ বসু’র বাড়ি? পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে, এই বিষয়ে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব।” (ছবি- দেবনাথ মাইতি)
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…