দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ অক্টোবর: রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সদরের সঙ্গে মেদিনীপুর শহরেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় ‘পুজোর কার্নিভাল’। অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হলেও, আগাগোড়া এর রাশ ছিল মেদিনীপুর পৌরসভার হাতেই! আর সেজন্যই নাকি জেলার এই কার্নিভালে শেষ পর্যন্ত অংশ নেয় মেদিনীপুর পৌরসভার অধীন মাত্র ১৮টি পুজো কমিটি। কার্নিভাল চলাকালীনও একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে গেল শহরের সাংবাদিক মহল, বিরোধীদল থেকে আমজনতার মধ্য থেকে। পরোক্ষে এই কার্নিভালের আয়োজন ঘিরে কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গেল শাসকদলের জেলা সভাপতির কন্ঠেও! এদিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কার্নিভাল চলাকালীন শহরের পঞ্চুরচক থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ওই এলাকায় থাকা পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়ে রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্সটি। পরে সেটিকে ঘুরপথে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও, কার্নিভাল চলাকালীন শহরের একটি অংশে (কর্নেলগোলা, গোলকুঁয়াচক প্রভৃতি এলাকায়) তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং শহরবাসীকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি, কার্নিভালের শুরুতেই (বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ) সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বয়ং মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে শহরের সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরী মেদিনীপুর পৌরসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ উত্তাল হয় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। আর, এই পুরো বিষয় নিয়ে বিরোধীদের তরফে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য কুন্দন গোপের অভিযোগ, “পরিকল্পনাহীন কার্নিভাল। সেজন্যই অ্যাম্বুলেন্সকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হল শহরবাসীকে।”
অন্যদিকে, বিজেপি-র জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, “ভোটের রাজনীতির জন্যই জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের মত জরুরি পরিষেবার যানকেও তোয়াক্কা করা হয়নি! ধিক্কার জানাই।” এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। তবে, শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “যদি এরকম হয়ে থাকে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।” অনুষ্ঠানের রাশ তো ছিল পৌরসভার হাতে? এ নিয়ে সুজয় জানান, “বিভিন্ন মহল থেকেই এরকম নানা অভিযোগ আমাদের কাছেও পৌঁছেছে! জেলার কার্নিভালে শুধুমাত্র মেদিনীপুর পৌরসভার হাতে গোনা কয়েকটি পুজো কমিটিই কেন অংশ নিল, তাও প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ, প্রশাসনের এই কার্নিভালে শাসকদলের কোনো ভূমিকা ছিলোনা, আমরা আমন্ত্রিতও ছিলাম না! তবে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বিষয়টি প্রশাসনের অবিলম্বে তলিয়ে দেখা উচিত।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…