দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ এপ্রিল:অগ্নিযুগের ‘মুক্তিযোদ্ধা’, মেদিনীপুরের বীর সন্তান (১৮৭১ সালের ১২ জুন অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধানগর গ্রামে জন্ম) ‘অস্ত্রগুরু’ হেমচন্দ্র কানুনগো’র ৭২ তম প্রয়াণ দিবসেই (১৯৫১’র ৮ এপ্রিল তাঁর মহাপ্রয়াণ হয়েছিল) যেন বদলে গেল জেলা শহর মেদিনীপুর! শহরের প্রাণকেন্দ্র কেরানীটোলা (বা কেরানি তলা)’র মোড়ে ‘অস্ত্রগুরু’ হেমচন্দ্র কানুনগো’র মূর্তি-কে ঘিরে যে বৃত্তাকার রেলিং দেওয়া অংশ রয়েছে, সেই রেলিংয়ে সারা বছর ধরেই ঠাঁয় পায় নানা ধরনের রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার। শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ঐতিহ্য মন্ডিত সংস্থা মিডনাপুর ডট ইন (midnapore.in)। মেদিনীপুর পৌরসভার আন্তরিক সহযোগিতায়, হেমচন্দ্র কানুনগো’র মূর্তি সংলগ্ন ওই গোলাকার অংশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় সমস্ত ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার। তার বদলে পুরো অংশ জুড়ে শোভাবর্ধন করে শুধুমাত্র হেমচন্দ্র কানুনগো’র ছবি ও তাঁর তৈরী পতাকা।
‘মিডনাপুর ডট ইন’ (midnapore.in) সংস্থা’র পক্ষ থেকে গবেষক ও সমাজকর্মী অরিন্দম ভৌমিক বেঙ্গল পোস্ট-কে জানান, “বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে পৌরপিতা শ্রী সৌমেন খান মহাশয়ের কার্যালয়ে গিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে, কেরানিতলায় অবস্থিত হেমচন্দ্র কানুনগো-র মূর্তির চতুর্দিকে থাকা অসংখ্য ফ্লেক্স-পোস্টার যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। সৌমেন বাবু তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন সমস্ত ফ্লেক্স-পোস্টার সরিয়ে দেওয়ার। সেই জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে আমরা লাগিয়ে দিয়েছিলাম হেমচন্দ্র কানুনগো-র ছবি ও তাঁর তৈরী পতাকা। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় মাল্যদান এবং অস্ত্রগুরু’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।” ‘মিডনাপুর-ডট-ইন’ এর পক্ষ থেকে প্রথম মাল্যদান করেন তাঁর প্রপৌত্র অরিন্দম কানুনগো। এরপর, মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান (বা, পৌরপ্রধান) সৌমেন খান মাল্যদান করেন। ‘মিডনাপুর-ডট-ইন”-এর সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুস্মিতা কুন্ডু, অশ্রুকণা ঘোষ, শুভাশিস গাঙ্গুলি, পূর্ণচন্দ্র ভূঁইয়া, সুব্রত দে, অরিন্দম কানুনগো এবং অরিন্দম ভৌমিক।