দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মে: “খুব বড় নেতা হয়ে গেছে! আগে একটা বিঁড়ি নিভিয়ে নিভিয়ে খেত…নন্দীগ্রামের মানুষ টুপি পরেনি। আপনাদের টুপি পরিয়ে জিতে গেছে দীনেন চোর টা…কে জানে গোয়ালঘর দেখিয়ে দীনেন রায়ও আবাসের বাড়ি চুরি করেছে কিনা!” তাঁর গড়ে এসে তাঁকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একসময় তাঁদেরই ‘নেতা’ ছিলেন। আজ তিনি বিরোধী দলনেতা। বলাই বাহুল্য, মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের ‘শক্তি’ থেকে ‘দুর্বলতা’ সবই তাঁর জানা! আর তাই, খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক ও MKDA চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীনেন রায়-কে তাঁর ‘গড়’ হিসেবেই খ্যাত খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভার পাঁচখুরি (মেদিনীপুর সদর ব্লকের)-তে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার পড়ন্ত বিকেলে শুভেন্দু’র নিশানা, “ডবল ডবল চাকরি হয়েছে। দীনের রায়ের মেয়েও পেয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে দীনেন রায়ের মেয়ে। লম্বা লিস্ট! তৃণমূলের সব চোর ডাকাতগুলো চাকরি চুরি করেছে। আর, মেধা সম্পন্ন যোগ্যদের পথে বসিয়েছে।”
পাল্টা দীনেন রায় অবশ্য জানিয়েছেন, “রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েই এরকম আক্রমণ! আর এখনও আমি একটা বিঁড়ি নিভিয়ে নিভিয়েই খাই। সেটা আমার দলের কর্মী-সমর্থকেরা জানেন। মিথ্যাচারের জবাব খড়্গপুর গ্রামীণের বাসিন্দারা দেবেন।” এদিকে, পাঁচখুরি-র সভার শেষলগ্নে ঘাটাল লোকসভা আসনের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারীর বিরুদ্ধেও ‘বোমা’ ফাটান শুভেন্দু! বলেন, “ঘাটালের হিরোকে জিরো করব হিরণ (বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়)-কে দিয়ে। ২৩ মে সকালে আমার এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার/ X হ্যান্ডেল) এমন একটা জিনিস ছাড়বো ও আর ঘর থেকে বেরোতে পারবে না! নজর রাখবেন ২৩ মে সকাল ৯টায়।” পাঁচখুরি-র আগে শালবনী ব্লকের একদা মাও অধ্যুষিত পিড়াকাটার জনসভায় আক্রমণ করেন স্থানীয় (৭নং সাতপাটির) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল ধল-কে। বলেন, “জানি এখানে লড়াই খুব কঠিন। এখানেও একটা শাজাহান আছে! ১৫ বিঘা জমি করেছে!” পরিমলের প্রতিক্রিয়া, “এই এলাকায় বিজেপির অস্তিত্ব নেই বলেই ব্যক্তিগত আক্রমণ। এখানকার মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে বলেই স্বয়ং বিরোধী দলনেতাকে দিয়ে নোংরা আক্রমণ করাতে হচ্ছে। আর, আমার কত জমি আছে, BLRO অফিসে গেলেই যে কেউ জানতে পারবেন।”
মেদিনীপুর লোকসভার অধীন পিড়াকাটার সভা থেকে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানকেও। বিরোধী দলনেতার বাণ, “জুন মালিয়া-কে জেতাতে কে টাকা ছড়াচ্ছে, সব জানি। মদ ওয়ালা। আমি ভয় পাইনা! সৌমেন খান। একদিন সকালে উঠে যদি দেখেন, আপনার বাড়িতেও অতিথিরা হাজির হয়েছেন; তখন মজা বুঝবেন!” সৌমেন খান জানিয়েছেন, “যখন কোন রাজনৈতিক বক্তব্য থাকেনা। তখনই এরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে হয়! উনি আবারও বোঝালেন, বিভিন্ন এজেন্সি ওনাদের হাতের পুতুল!” কেশিয়াড়ি সভায় স্থানীয় আইসি থেকে বিডিও-দেরও নিশানা করেছেন শুভেন্দু। সাদা খাতায় চাকরি পাওয়া থেকে শাহজাহানের মত পিঠে খাওয়া! শুভেন্দু’র একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে বিজেপি-র উচ্ছ্বসিত কর্মী-সমর্থকেরা হাততালিতে ফেটে পড়েন। “এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকবে না!” কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। পাল্টা বিজেপি-র সহ-সভাপতি ও মেদিনীপুরের পার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ইলেকশন এজেন্ট রমাপ্রসাদ গিরির কটাক্ষ, “লোকটার নাম শুভেন্দু অধিকারী। ৪ জুনই বুঝে যাবেন!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…