দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ আগস্ট: “আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ/ স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি….আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়/ পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা/ এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়….!” ‘কিশোর কবি’র কাব্যবাণী আবারও ‘সত্য’ প্রমাণ করল বিপ্লব আর সংগ্রামের পীঠস্থান মেদিনীপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা। গত ২২ আগস্টের ‘বিতর্কিত’ নির্দেশিকা প্রত্যাহার করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত। মঙ্গলবার (২৭ আগস্টের) SFI (ভারতের ছাত্র ফেডারেশনন)-র নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ‘দাঁতে দাঁত চাপা’ লড়াইয়ের কাছে শেষমেশ মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি)। আজ (২৭ আগস্ট) বিকেলেই নতুন নির্দেশিকা দিয়ে তিনি জানালেন, শিক্ষা দপ্তরের (কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের) ২৩ আগস্টের সার্কুলার (নির্দেশিকা) মানলেই হবে। ২২ আগস্টের জেলার নির্দেশিকা বাতিল করা হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর জি কর ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই পথে নামা শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও। আর তারপরই, ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি) জেলার সমস্ত জুনিয়র হাই, হাই স্কুল ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ইমেইল মারফত নির্দেশিকা পাঠান, শিক্ষা দপ্তরের কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোন কর্মসূচির জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারবেনা। এরপরই, বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার DI-ই কেন এমন বিতর্কিত নির্দেশিকা দিলেন, তা নিয়েও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আন্দোলন শুরু করে বাম শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ (নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি) সহ অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনগুলিও। গর্জে ওঠে ছাত্র-ছাত্রীরাও। মঙ্গলবার এই ‘বিতর্কিত’ নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ডিআই অফিসে তীব্র আন্দোলন শুরু করে SFI। ডিআই স্বপন সামন্ত-কে ঘেরাও করে অবিলম্বে এই বিতর্কিত নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ছাত্র-ছাত্রীরা। যতক্ষণ না ওই বিতর্কিত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ অবধি তাঁর অফিস থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নড়বেনা বলেও জানায়।
আর তারপরই মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ পূর্বের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে, নতুন নির্দেশিকা জারি করেন ডিআই স্বপন সামন্ত। যেখানে বলা হয়েছে, ২৩ আগস্ট শিক্ষা দপ্তরের (Commissioner of School Education-র) তরফে যে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে তা মানলেই হবে অর্থাৎ স্কুল চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে, অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে যে আর কোন বাধা রইল না, তা মানছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন (ASFHM)-র জেলা সভাপতি তথা শালবনী ব্লকের ভাদুতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. অমিতেশ চৌধুরী বলেন, “পড়াশোনার কোনও ক্ষতি না করে, ছাত্র-ছাত্রীরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তাতে আপত্তির কিছু দেখছি না। বরং সেটা তাদের নৈতিক কর্তব্য বলেই মনে করি। আমরা সংগঠনগতভাবে গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ ধরার চেষ্টার বিরোধিতা করেছি এবং করছি।” এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিআই-র এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে বলে মনে করছেন SFI-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক রনিত বেরা। তিনি এও বলেন, “বিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রাষ্ট্র ভেঙে পড়েছে, তাই ছাত্র-ছাত্রীরাও পথে নামবে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রসেনজিৎ বেরা বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরা নিশ্চয়ই গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তবে, ১৮ বছরের নিচের ছাত্র-ছাত্রীদের পথে নেমে আন্দোলন করা বা মিছিল করার ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকদেরও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…