দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি:”১২ বছর আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল। সেজন্যই ৮ বছর ধরে জেল খাটতে হল। এটা একটা চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।” নেতাই-কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত CPIM এর সেই সময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ডালিম পাণ্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Midnapore Central Jail/ Midnapore Central Correctional Home) থেকে বেরিয়ে ‘হাসিমুখে’ সাংবাদিকদের এভাবেই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এরপরই, সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, এই কঠিন সময়ে দল আপনাদের পাশে ছিল? সিপিআইএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির (তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর/ বর্তমানে ঝাড়গ্রামের অধীন) তৎকালীন সম্পাদক ডালিম পান্ডে উত্তর দেন, “দল তো অবশ্যই পাশে ছিল। আজকেও যে এতজন আমাদের আনতে আসবেন, ভাবতে পারিনি। দল এখনও আগের মতোই আমাদের পাশে আছেন ভেবে সত্যিই ভালো লাগছে।” প্রশ্ন ছিল, ভবিষ্যতে কি সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবেন? ডালিমের উত্তর, “আগে বাড়ি ফিরি। এতদিন পর বাড়ি যাচ্ছি! সক্রিয় রাজনীতিতে তো অবশ্যই ফিরব।” সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে, এ নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাননি ডালিম পান্ডে। কিছুটা সময় চেয়েছেন। এদিন, তাঁর সঙ্গেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সিপিআইএমের তৎকালীন লালগড় লোকাল কমিটির শীর্ষ নেতা তপন দে। তবে, কাগজপত্রের জটিলতার জন্য আজ ছাড়া পাননি, নেতাই-মামলার প্রধান অভিযুক্ত অনুজ পান্ডে (ডালিম পান্ডের ভাই)। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জেল-মুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডে এবং তপন দে’র জামিন মঞ্জুর করেন। ইতিমধ্যে, এই মামলায় সিপিআইএম এর ফুল্লরা মন্ডল, চন্ডী করন সহ ৭ জন মুক্তি পেয়েছেন। অনুজ, ডালিমদের পর সংখ্যাটা বেড়ে হল ১০। বাকি ১০ জনও খুব শীঘ্রই জামিন পাবেন বলে আশাবাদী সিপিআইএম এর জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে ডালিম পান্ডেও জানান, “ধীরে ধীরে সকলেই মুক্তি পাবেন। কারণ, আমাদের সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। এটা ছিল চক্রান্ত!” এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিআইএম কর্মীর রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। নিহত হন ৪ মহিলা সহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী। জখম হন ২৮ জন। সিপিআইএমের অভিযোগ ছিল, মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল ও ছত্রধর মাহাতোর নেতৃত্ব দিন পুলিশ বিরোধী জনগণের কমিটি ‘চক্রান্ত’ করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সেই ঘটনাতেই ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল হায়দ্রাবাদ থেকে ডালিম পান্ডে, তপন দে সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ৬ মে (২০১৪) ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে অনুজ-কে গ্রেফতার করা হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত একে একে সকলেই জামিন পাচ্ছেন। সিপিআইএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মামলা ফায়সালা না হওয়ার জন্য যে পরিমাণ জেল খেটেছেন, তাতে বড় সাজা পেয়ে গিয়েছেন ওনারা! জামিনে মুক্ত হওয়া দরকার ছিল।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…