দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ মার্চ: সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা নাগাদ শহর মেদিনীপুরের বিধাননগর মাঠে তৈরী হওয়া অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বিধাননগর মাঠ থেকে পায়ে হেঁটেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের দিকে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ‘দিদি দিদি’ ধ্বনিতে ভরিয়ে তুলেছিলেন অসংখ্য মহিলা। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কলেজ পড়ুয়া সুকৃতীও। সুকৃতী-র কোলেই ছিল ছোট্ট দিশা। সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে, মিষ্টি দিশা-কে দেখতে পেয়েই হাত বাড়িয়ে কোলে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী! বেশ কিছুক্ষণ আদর করার পর পুনরায় তাকে সুকৃতী-র কাছে ফিরিয়ে দেন মমতা। হাজার হাজার মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে দিশা একটু ভয় পেয়ে গেলেও, দিদি’র এই আদরে-আহ্লাদে আপ্লুত মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্যতম লড়াকু সৈনিক সুকৃতী। আসলে ছোট্ট দিশা যে তার কাছেই বড় হচ্ছে!

thebengalpost.net
সুকৃতী-র কোলে দিশা:

জানা যায়, স্থানীয় (৫ নং ওয়ার্ডের) তৃণমূল কাউন্সিলর এবং শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌ রায় (হাজরা)-র মেয়ে সুকৃতী। ছোট্ট দিশা সেই ৬ মাস বয়স থেকেই মৌ-দের বাড়িতে বড় হচ্ছে। এখন দিশা-র বয়স ১ বছর ৩ মাস। দিশাকে দিনরাত আগলে রাখে সুকৃতী-ই। ব্যস্ততার মাঝেই সোমবার সন্ধ্যায় মৌ জানান, “সেই ২০-২৫ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে রান্না করেন মিতা রানা। ওঁর মেয়ে সোনালী। লকডাউনের সময় (২০২০-সালে) আমিই সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম। ওর স্বামী দীপু কর্মকার। মেদিনীপুর শহরের বড়বাজারের একটি দোকানে কাজ করে। ওরা থাকে ১০নং ওয়ার্ডে (মীরবাজার সংলগ্ন এলাকায়)। ২০২১ সালে ওদের একটি মেয়ে হয়। ফের ২০২২-র শেষে (ডিসেম্বরে) দিশা-র জন্ম হয়। ওদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না হয় আমিই বলি তোমাদের ছোট মেয়েকে আমিই মানুষ করব। ৬ মাস বয়স থেকেই আমাদের কাছে আছে। আমার মেয়েই ওর সব কিছু করে। আর সোনালী সহ ওদের বাড়ির সকলেই আমাদের বাড়িতে আসেন। আর দিশার ঠাকুমা (মিতা)-তো আমাদের বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকেন।” সোমবার বিকেলে ‘মমতাময়ী দিদি’ যেভাবে দিশাকে আদর করেছেন, তাতে আপ্লুত মৌ ও সুকৃতী! সুকৃতী বলেন, “দিশা যেন দিদির মতোই লড়াকু একজন মানুষ হয়, এটাই চাইবো!”