দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: মেদিনীপুর পৌরসভার ৩-টি সিআইসি (Chairman in Council) পদের জন্য তিনজন কাউন্সিলর-কে বেছে নেওয়া হল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ একটি সিআইসি পদ দেওয়া হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান (১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর) অনিমা সাহা-কে! প্রত্যাশামতোই অপর দুটি গেছে, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালী ব্যানার্জি এবং ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুসময় মুখার্জি-র কাছে। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের অনুমান ছিল, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ PWD (Public Works Department) বা পূর্ত পুর পারিষদ-টি চেয়ারম্যান সৌমেন খান নিজের কাছেই রাখবেন! তবে, তিনি তা নিজের কাছে না রেখে, ভাইস চেয়ারম্যান অনিমা সাহা’কে সেই ‘দায়িত্ব’ বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, ২ নং কাউন্সিলর মিতালী ব্যানার্জি এবং ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুসময় মুখার্জি-র মধ্যে যথাক্রমে জল (Water Supply Department) ও জঞ্জাল (Conservancy) এর সিআইসি বা পুর পারিষদ পদ দুটি তুলে দিয়েছেন।
এছাড়াও, পৌরসভার আরও ৭-টি দপ্তরের (বা, কমিটির) দেখভাল করার দায়িত্ব বা ইনচার্জ পদ তুলে দেওয়া হয়েছে ৭ জন কাউন্সিলর-কে। এগুলি হল যথাক্রমে, আলো- সৌরভ বসু (৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর); স্বাস্থ্য- ডাঃ গোলক বিহারী মাজি (৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর), স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী ড. চন্দ্রানী দাস (২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর), মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড- সত্য সুন্দর পড়িয়া (২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর), বসতি উন্নয়ন- সীমা ভকত (৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর); ত্রাণ- প্রতিমা দে (২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর) এবং ক্রীড়া ও যুব- রাহুল বিষই (১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর)। সবমিলিয়ে, মোট ১০ জন কাউন্সিলর (ভাইস চেয়ারম্যান সহ)- এর মধ্যে বিভিন্ন দপ্তর ভাগ করে দিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। জানা গেছে, সবটাই মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়ার পরামর্শে সুচারুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এও উল্লেখ্য যে, তৃণমূলের জয়ী ২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জন ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর; এর মধ্যে ৫ জনকেই বিভিন্ন দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন জুন-সৌমেন জুটি। যে পাঁচ জন মহিলা কাউন্সিলর দায়িত্ব পেলেন না তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ৫ নং ওয়ার্ডের অভিজ্ঞ কাউন্সিলর মৌ রায়। এর আগের পৌর বোর্ডে তিনি একটি সিআইসি পদের (জল) দায়িত্বেও ছিলেন। এছাড়াও, ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা সর্বাধিক ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিরূপমা কুনার, ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপি বিষই এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নম্রতা চৌধুরী-ও সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। ঠিক একইভাবে, অভিজ্ঞ কাউন্সিলর তথ তৃণমূলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব (১৯ নং), ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী (৮ নং), টোটোন সাসপিল্লি (১২ নং) এবং মোজাম্মেল হোসেন (১৩ নং)-রাও অতিরিক্ত কোনো দায়িত্ব পেলেন না। শহরের রাজনৈতিক সমালোচকেরা বলছেন, ‘বেস্ট ইলেভেন’ চেঞ্জ হলেও, ক্যাপ্টেন (পড়ুন, চেয়ারম্যান) সৌমেন খানের নেতৃত্বে ‘প্রথম ১১’ বেছে নিতে ভুল করেননি ‘টিম ম্যানেজার’ জুন’; আগামীকাল (১৪ এপ্রিল)-ই যাঁর শহরে পা রাখার কথা!