দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ অক্টোবর: মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় পৌঁছল ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার থেকেই জেলা পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে বাহিনীর টহল বা রুট মার্চ শুরু হয়েছে মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকার শালবনী থেকে গুড়গুড়িপাল সহ বিভিন্ন এলাকায়। মূলত, নির্বাচনের (১৩ নভেম্বর) আগে শালবনী থানা, গুড়গুড়িপাল থানা এবং কোতোয়ালী থানার অধীন এলাকাগুলিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তথা এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করতেই এই রুট মার্চ বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। জানা গেছে, ১৬ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে শালবনী থানা এবং শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত মোট ৫টি অঞ্চলের (বা, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার) জন্য ৫ কোম্পানি (BSF ও CISF) বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি কোম্পানিতে ৭৫ থেকে ৮০ জন করে জওয়ান থাকেন। শালবনী থানার অধীন নিউ ইন্টিগ্রেটেড স্কুল (মিরগা), নাদাড়িয়া হাই স্কুল, গোদাপিয়াশাল এমজিএম হাই স্কুল, মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ এবং কয়মা স্টেডিয়ামে ৫ কোম্পানি বাহিনীকে রাখা হয়েছে বলে শালবনী থানা এবং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
১৬ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে বাকি ১১ কোম্পানি মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালী থানা এবং মেদিনীপুর গ্রামীণের (সদর ব্লকের) গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সোমবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে খয়েরুল্লাচক, দেলুয়া, বাঘঘরা থেকে শুরু করে শালবনী থানার শালডহরা, দক্ষিণশোল কলোনী প্রভৃতি এলাকায় রুট মার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আগামী ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ নির্বাচনের দিন মেদিনীপুর বিধানসভার অধীন মোট ৩০৪টি বুথের সবকটিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানরা থাকবেন। উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর বিধানসভার অধীন শালবনী ব্লকে মোট বুথ সংখ্যা ৮৩টি এবং মেদিনীপুর শহর (পৌর এলাকা) ও সদর ব্লক মিলিয়ে বুথ সংখ্যা ২২১। প্রতিটি বুথেই ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন বলে জানা গেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এছাড়াও, প্রতিটি বুথই সিসিটিভি ক্যামেরা বা ওয়েব কাস্টিংয়ের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO) খুরশিদ আলী কাদেরী।