দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু তথা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-র ১০৫ (অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানো), ১২৫-বি (জীবনহানির সম্ভাবনা আছে এমন কোনও কাজ করা) এবং ১৯৮ (সরকারি নির্দেশ অমান্য করা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে সমস্ত নথিপত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও, এখনও অবধি ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বা তাঁদের সাসপেনশনের নোটিশ ধরানো হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় স্যালাইনকেই দায়ী করেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে আংশিক কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

thebengalpost.net
তদন্তে সিআইডি:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলেন, “ওই দিন চার জনের (মামনি রুইদাস, মাম্পি সিং, নাসরিন খাতুন, মীনায়ারা বিবি) সিজারের পরই তাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়। এরপর আমরা পঞ্চম প্রসূতিকে (রেখা সাউ) বেডে তোলার পর একটি স্যালাইন চালিয়ে দেখি তাঁরও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তারপর আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হই স্যালাইনের জন্যই এই ঘটনা ঘটছে। সেজন্যই রোগীর পরিজনদের মুচলেকা লেখানো হয়। পঞ্চম (রেখা সাউ), ষষ্ঠ ও সপ্তম প্রসূতির পরিজনদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে বলা হয়। ষষ্ঠ ও সপ্তম প্রসূতিকে একটাও ওই স্যালাইন (নিষিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার আরএল) দেওয়া হয়নি। সেজন্যই তাঁরা সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গেছেন। পঞ্চম প্রসূতিকে মাত্র একটা স্যালাইন দেওয়ার কারণে, তিনিও অপেক্ষাকৃত কম অসুস্থ হন।” তাঁরা এও বলেন, “প্রসূতি বিভাগ ও অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের এই পিজিটি-রা আগেও একাধিক ওটি (সিজার) করেছেন; কোনও সমস্যা হয়নি। মামনি রুইদাসের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও ভুল অস্ত্রোপচার নয়, সংক্রমণ বা সেপটিক শককে দায়ী করা হয়েছে। যেটা ওই ভেজাল বা বিষাক্ত স্যালাইনের কারণেই ঘটেছে।” যদিও, সিনিয়র চিকিৎসকেরা নিজেদের ডিউটি করেন না কেন? এই প্রশ্নের সদুত্তর কোনও পক্ষই দিতে পারেন নি!

thebengalpost.net
প্রতিবাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের: