দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি: তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে গত সপ্তাহেই (২৭ ডিসেম্বর) মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন দলেরই শহর সভাপতি তথা ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ ১০ জন। দাবি তুলেছিলেন সৌমেন খানের পদত্যাগের! এরপরই, আসরে নেমেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২ জানুয়ারি কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর শহর সভাপতি তথা ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের নেতা বিশ্বনাথ পাণ্ডব-কে। যদিও, বক্সীর ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল কলকাতা যাননি বিশ্বনাথ! বরং, আজ, বুধবার ৯ জন কাউন্সিলর-কে সঙ্গে নিয়ে সোজা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে যান তিনি। বিশ্বনাথ জানান, “গতকাল আমার ওয়ার্ডের এক কর্মী ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাকে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করতে হয়। সে কথা জানানোর পর, কলকাতা থেকেই বলা হয় ওই কর্মীর যত্ন নেওয়ার জন্য। আজ আমরা মেদনীপুর পৌরসভার কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ১০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হয়েছি। এর বেশি এখনই কিছু বলার নেই। আলোচনায় কি হয় জানাব।”
যদিও, বুধবার মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জির দেখা পাননি বিশ্বনাথ পাণ্ডবরা। তবে, বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ মেদিনীপুর পৌরসভার ১০ জন কাউন্সিলর মহকুমাশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। বিশ্বনাথ পান্ডব জানান, “যেহেতু মহকুমাশাসক পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে পৌরসভা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছি।” তবে, মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের বিরূদ্ধে অনাস্থা আনা হতে পারে কিনা, তা নিয়ে খোলসা করে কিছুই জানাননি বিশ্বনাথ। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে কোনদিন অনাস্থা আনার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের ১০ বিদ্রোহী কাউন্সিলরের।
উল্লেখ্য যে, ২৫ আসন বিশিষ্ট মেদিনীপুর পৌরসভার ২০ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ ‘বিদ্রোহী’ এই ১০ কাউন্সিলর মূলত দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। সৌমেন খান সহ অন্তত ৯ জন কাউন্সিলর আবার দলের মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়ার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। ১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দু’দিকেই ‘ভারসাম্য’ করে চলেন বলে শহরের রাজনৈতিক মহলের ধারণা। অন্যদিকে, এ সব নিয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার বিরোধী ৫ কাউন্সিলরের (৩ জন সিপিআইএমের, ১ জন কংগ্রেস এবং ১ জন নির্দল) অন্যতম তথা জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহঃ সাইফুল বলেন, “এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে, চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি ওঁরা (১০ জন) এনেছেন, তা অনেকাংশই সত্য। উনি (সৌমেন খান) নিজের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কাউন্সিলর ছাড়া পৌরসভার কোন বিষয় নিয়ে বাকিদের সাথে আলোচনা করেন না। একতরফা সিদ্ধান্ত নেন! শুধু তাই নয়, সরকারি টাকা বন্টনেও উনি পক্ষপাতিত্ব করেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…