দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: “এ শহরের কোনে কোনে নিয়ত ইতিহাস কথা বলে যায়/ বেদনায় কাঁসাই নদী, প্রার্থনা মন্দির মসজিদ গির্জায়…”! রচিত হয়েছে থিম সং। শহর মেদিনীপুরের জন্মোৎসব পালনে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা শহর মেদিনীপুরের শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ সংস্কৃতি সচেতন নাগরিকরা। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম বর্ষীয়ান লেখক, চিত্র পরিচালক তথা ‘উপত্যকা’ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক তাপস মাইতি বলেন, ১৭৮৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জেলা সদর (বা, জেলা শহর) হিসেবে মেদিনীপুরের নাম ঘোষণা করা হয়। অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার সেই মেদিনীপুর শহর এখন শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা সদর বা জেলা শহর। তবে, প্রায় ২৪১ বছরের অতীত ইতিহাস স্মরণ করেই আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ‘শহর মেদিনীপুরের জন্মোৎসব’ পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর শহর জন্মোৎসব কমিটির তরফে।
এই উৎসবকে সামনে রেখেই শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে জন্মোৎসব কমিটির তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়, ইতিহাসকে স্মরণে রেখে এবং বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে ২২ সেপ্টেম্বর দিনটিকে মেদিনীপুর শহরের জন্মদিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই হিসেবেই এবারই প্রথম ঐতিহাসিক শহর মেদিনীপুরের জন্মোৎসব পালন করা হবে আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর (২০২৪)।
শহরের শিল্প, সংস্কৃতি ও শিক্ষা জগতের সুপরিচিত ব্যক্তিদের উদ্যোগে ও উৎসাহে তৈরি করা হয়েছে মেদিনীপুর শহর জন্মোৎসব কমিটি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ওই কমিটির তরফে তাপস মাইতি, বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, তনুশ্রী ভট্টাচার্য, সমীর মোহান্তি, পার্থ বাগচী, জয়ন্ত মণ্ডল, মণিকাঞ্চন রায়, নরসিংহ দাস, দেবনাথ মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, ২২ সেপ্টেম্বর সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এছাড়াও, দু’দিন ধরে পুরানো দিনের গান, হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালা থেকে শুরু করে কবিতা পাঠ, চিত্র প্রদর্শনী, সংবর্ধনা প্রদান প্রভৃতি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। দু’দিনের এই উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য আপামর শহরবাসী ও জেলাবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে উৎসব কমিটির তরফে। (শুনুন থিম সং👇)