দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ অক্টোবর: আজ ‘মহালয়া’। পিতৃপক্ষের অবসান। দেবী পক্ষের সূচনা। আকাশে বাতাসে মায়ের আগমনী বার্তা। মা’কে স্বাগত জানানোর সাথে সাথেই, ঐতিহ্য মেনে মহালয়ার পবিত্র ভোরে পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন আপামর বাঙালি। নদীতে ডুব দিয়ে পিতৃ পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় এই তর্পণ করা হয়। মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে গান্ধীঘাটেও বরাবরের মতোই রীতি ও ঐতিহ্য মেনে তর্পণে অংশ নিলেন হাজার হাজার মেদিনীপুর শহরবাসী। পুলিশ ও পৌরসভার তরফেও বরাবরের মতোই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এদিন। দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর পুলিশ ও প্রশাসনের। কংসাবতী নদীতে স্পিড বোট নিয়ে চক্কর কাটলেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
এদিকে, মহালয়ার ভোরে পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে ‘তর্পণ’ শেষেও তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার’ চাইতে ভুললেন না শহরবাসী। তর্পণ শেষে নদীর পাড়ে উঠে সুরজিৎ ভৌমিক বলেন, “পিতৃ পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করলাম প্রতি বছরের মতোই এবারও। তবে, দেবী পক্ষ বা মাতৃ পক্ষের সূচনায়, এবার মায়ের কাছে এক বিশেষ প্রার্থনাও করব। আমাদের ‘তিলোত্তমা’ যেন বিচায় পায়! এই ঘৃণ্যতম কাজের সঙ্গে যুক্ত কোন অপরাধী যেন ছাড় না পায়। এটাই প্রার্থনা করি মায়ের কাছে।” তর্পণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পৌর আধিকারিক শৈবাল গিরি বলেন, “আমার বাবা সহ বংশের পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করলাম। সেই সঙ্গে, সারা বছর যেন আমাদের ২ লক্ষ মেদনীপুরবাসী সুস্থ থাকেন, মায়ের কাছে সেই প্রার্থনাও করলাম। মেদিনীপুর যেন ডেঙ্গু মুক্ত থাকে, শহরবাসী যেন সুস্থ থাকেন; আজকের দিনে সেই প্রার্থনা আর চেষ্টাই থাকবে আমাদের।” তিনি এও মনে করিয়ে দেন, ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে কংসাবতী নদীর এই ঘাটেই ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম ভাসিয়েছিলেন বিপ্লবীরা। সেজন্যই এই ঘাটের নাম হয়েছে গান্ধীঘাট।
এদিন, মহাত্মা গান্ধীর ১৫৬-তম জন্মজয়ন্তীতে গান্ধীঘাটে থাকা তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মালা ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধাও জানানো হয় পৌরসভার তরফে। মেদিনীপুর শহরেও শিশু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় মহাত্মা গান্ধীর পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। অপরদিকে, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর দুই শহরেই মহালয়ার সকালে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয় নাগরিকবৃন্দের তরফে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত্রিযাপনও করেন বামেরা। শহরের পঞ্চুরচক এলাকায় “রাত্রি থেকে ভোর, জাস্টিস ফর আর জি কর” কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন DYFI-র রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…