পাখির চোখে মেদিনীপুর শহর:
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৮ মার্চ: ইতিমধ্যে কলকাতার গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৯! বেআইনি-নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন থেকে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে। ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’-র মতোই বেআইনি নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মাথায় ‘ব্যান্ডেজ’ নিয়েই গার্ডেনরিচে পৌঁছে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসও। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরই মেদিনীপুর পৌরসভার একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর মহঃ সাইফুল ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন! সাইফুল লিখেছেন, “যেভাবে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে মেদিনীপুরে, একদিন গার্ডেনরিচ হতে বাধ্য! পৌরপিতা সৌমেন খানের বদান্যতায়।”
এই বিষয়ে আপামর শহরবাসীই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সম্প্রতি মেদিনীপুর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলা শহর মেদিনীপুরে বহুতল-নির্মাণ সম্পর্কে ‘কড়া’ পর্যবেক্ষণ রেখেছিলেন! গত ৪ মার্চ সার্কিট হাউসের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নাকি মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপিতা সৌমেন খান-কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “মেদিনীপুরের মতো ছোট শহরে এত বহুতল কেন? আর একটু হলে তো আমার হেলিকপ্টারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেত!” কিছুটা ‘মজা’ আর কিছুটা ‘ধমকের’ সুরে মুখ্যমন্ত্রী নাকি এই উপদেশও দিয়ে গিয়েছিলেন, “কোনোভাবেই মেদিনীপুর শহরে যেন ৬-৭ তলার বেশি বহুতলের অনুমতি না দেওয়া হয়!” এদিন, গার্ডেনরিচের ঘটনার পর ফের একবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরে বেআইনি-নির্মাণের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এলো! খোদ পৌরসভার কাউন্সিলরই এজন্য দায়ী করলেন পৌরপ্রধানকে। এমনকি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসকদলের (তৃণমূলের) এক কাউন্সিলরেরও অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে গিয়েছিলেন। অভিযোগ অমূলক নয় সাইফুলেরও! পৌরপ্রধান মুখে যতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন না কেন; মেদিনীপুর শহরের সবকটি বেআইনি-নির্মাণের পেছেনেই পৌরপিতার ইন্ধন আছে বলে প্রতিটি শহরবাসী জানেন!”
এদিকে, গার্ডেনরিচের ঘটনার পরই সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেদনীপুরের পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, “প্রতিটি বহুতল নির্মাণ সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা নির্মাণকারীদের নোটিশ পাঠিয়েছি। সমস্ত কিছু যদি ঠিকঠাক না থাকে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা নোটিশের একটি কপি SDO (মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জি) ম্যাডামকেও পাঠিয়েছি।” বিরোধি কাউন্সিলরের অভিযোগ সম্পর্কে পৌরপ্রধান বলেন, “বিরোধীদের কাজ অভিযোগ করা। এই বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও মেনে চলা হচ্ছে।” যদিও, পুরো বিষয়টিকেই কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেছেন, “এসব শুধু নাটক! আজ নয়, বহুদিন আগে থেকেই মেদিনীপুর শহরে বহুতল নির্মাণ নিয়ে আমরা বলে আসছি। শহরবাসীর সামনে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এজন্য পুরসভা থেকে শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই দায়ী। আসলে এই বহুতল নির্মাণের কাটমানি হয়তো পৌরপিতা, বিধায়ক হয়ে তৃণমূলের একেবারে শীর্ষ স্তরে বা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে যায়; তাই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়না! মেদিনীপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক দেওয়াও ছিল শুধুমাত্র আই-ওয়াশ!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…