দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ আগস্ট: “আমি নারী, আমি মহীয়সী….!” আর জি কর কাণ্ডের বীভৎসতার প্রতিবাদে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘আঁতুড়ঘর’ মেদিনীপুর শহরের ‘রাত দখল’ করল মেয়েরা। পায়ে পা মিলিয়ে ‘পথ’ হাঁটলেন ছেলেরাও। ৭৮তম স্বাধীনতার ঠিক কয়েক মুহূর্ত প্রাক্কালেই এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হল বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী, প্রদ্যোৎ, প্রভাংশু, বিমল, অনাথবন্ধু, ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ-দের মেদিনীপুর। কথা ছিল রাত্রি ৯-টা থেকে রাত্রি ১২টা অবধি শহরের পঞ্চুরচকে রাত্রিযাপন করবেন মেয়েরা। কিন্তু, তার অনেক আগে থেকেই জমায়েত হতে শুরু করেন দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ। রাত বাড়ার সাথে সাথেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ‘নানা রঙের’ মিছিল পৌঁছয় পঞ্চুরচকে। মেয়েদের কারুর হাতে মোমবাতি কিংবা মোবাইলের আলো। আবার কারুর হাতে নারী নির্যাতন বিরোধী কিংবা ধর্ষণবিরোধী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন! আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উঠেছে স্লোগান। ধর্ষক আর খুনিদের কঠিন শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে জেলা শহর মেদিনীপুর।
এরপর, পঞ্চুরচক থেকে সমস্ত মিছিল একত্রিত হয়ে কালেক্টরেটের উদ্দেশ্যে পথ হাঁটা শুরু করে রাত্রি ১০টা নাগাদ। ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানের সাথে সাথে, মুহুর্মুহু ওঠে প্রশাসনবিরোধী স্লোগানও। সব মিলিয়ে ৭৮তম স্বাধীনতার প্রাক মুহূর্তেই স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান শহর মেদিনীপুরে প্রতিবাদের ‘সব রং’ মিলেমিশে একাকার হয়ে উত্তাল করে তোলে রাজপথ! যে ‘পথে’ ওঠে একটাই দাবি- প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। সঠিক তদন্ত করে ‘সুবিচার’ দিতে হবে নির্যাতিতার পরিবার সহ আপামর বঙ্গবাসীকে। সব শেষে ‘স্বাধীন’ ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন আর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বাধীনতা-রক্ষার শপথের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এদিনের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি।