মেদিনীপুর শহরে রাজ্য পুলিশের ডিজি:
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন পশ্চিম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল:”যারা মাওবাদী ছিল তারাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি থেকে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক! মাওবাদীরাই তৃণমূল। আর, তৃণমূলীরাই মাওবাদী। এসব ওদের আভ্যন্তরীন বিষয়। কোথায় হাই এলার্ট জারি করেছে, কি বৈঠক করেছে, এসব আমরা বলতে পারবনা! তবে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, জঙ্গলমহলে মাও আতঙ্ক তৈরি করা রাজ্য সরকারেরই কোন গেম প্ল্যান হতে পারে। যদি, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভাবে যে, তৃণমূল একটু দুর্বল হলেই, মাওবাদীরা মাথাচাড়া দেবে! তার থেকে বাবা তৃণমূলকেই ভোট দিই! তবে, এখন আর মানুষ এতো বোকা নয়। মানুষও জানে, তৃণমূল কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, আর এখন কি করছে!” রাজ্য পুলিশের ডিজি শনিবার বিকেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ফিরে যাওয়ার পরই, জেলা পার্টি অফিসে এই প্রসঙ্গে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। তাঁর মতে, দু’দিন আগে রাজ্য সরকারের পুলিশ বলছিল, মাওবাদী আতঙ্ক তৈরি করছেন বিরোধীরা। তারপর, হঠাৎ করে মাওবাদী নিয়ে এত তৎপরতা! পুরোটাই আসলে, তৃণমূল কংগ্রেসের গেমপ্ল্যান।
তবে, এনিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেও আঙুল তোলেন। তাঁর মতে, “বহু নেতা বা বাড়ির লোকেরা চাকরি পেয়েছে, বড় বড় রাজপ্রাসাদ করেছে, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে! যারা তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে আছে, তাঁরাই এখন বাকিদের আতঙ্কের কারণ। পুরোটাই আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীন বিষয়।” পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলে মাওবাদী আতঙ্ক প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে, পুরো বিষয়টিকে আসলে এড়িয়ে যাওয়ার ঢঙে রাজ্য সরকার-কে কটাক্ষ করেছেন সুশান্ত! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী সতর্ক করার পর, জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানায় হায়রে অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। আর, শনিবার প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও পরে ঝাড়গ্রামে গিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সঞ্জয় সিংহ, ডিআইজি (মেদিনীপুর) প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। ঝাড়গ্রামে ডিজির বৈঠকে ছিলেন, ডিআইজি (বাঁকুড়া) সুনীল চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি এবং থানার ওসি, আইসিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই জেলার পুলিশ সুপারদের থেকে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এলাকার খোঁজখবর নেন মনোজ। এ ছাড়াও, সোর্স বাড়িয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ করে জঙ্গলমহল থানা এলাকার অফিসারদের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
তবে, পুরো বিষয়টিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের গেমপ্ল্যান বলে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। যদিও, সুশান্তকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-ও। সুজয়ের মতে, “মাওবাদী আর হার্মাদ এসবই সিপিআইএমের তৈরি। তারপর, অনুন্নয়ন, বঞ্চনা আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জঙ্গলমহলের মানুষ একসময় মাওবাদীদের পক্ষ নিতে বাধ্য হয়েছিল। তাদের সঙ্গে হার্মাদদের লড়াইয়ে রক্তাক্ত হয়েছিল জঙ্গলমহল। তারপর দিদির উন্নয়নে সেই বঞ্চনা, হিংসা আর অনুন্নয়ন ধুয়ে-মুছে গেছে! জঙ্গলমহলের ঘরে ঘরে এখন খাদ্য, বস্ত্র, মাথার উপর ছাদ, পানীয় জল, আলো আর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা। মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন মাওবাদীরা। চাকরি করছেন। তা সত্ত্বেও, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে কোথাও কোথাও হয়তো কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী রাজ্য পুলিশকে জানিয়েছে। এটা শুধুমাত্র রাজ্যের বিষয় নয়। আসলে, সিপিআইএম তথা হার্মাদ বাহিনীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এখন তাঁরা উল্টাপাল্টা বকছেন! আর, তৃণমূল কংগ্রেসকে কোন গেম প্ল্যান তৈরি করতে হয় না, মানুষের আশীর্বাদে তৃণমূল জিতছে এবং আগামীদিনেও জিতবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…