তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জানুয়ারি: আগামীকাল দেশের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি)। তার আগে তটস্থ দেশ ও রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। মাওবাদী থেকে জঙ্গি নাশকতার সম্ভাবনা থেকেই যায়। অন্যদিকে, সদ্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাও নেতা কিষাণ দাকে। তাই, যেকোনো মুহূর্তে বদলা নিতে পারে মাওবাদীরা। সেই সূত্র ধরেই, এবার কুখ্যাত মাওবাদী ‘আকাশ’ এর পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়িতে হানা দিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। প্রসঙ্গত, পিপলস ওয়ারস গ্রুপ (PWG) ও জনযুদ্ধ গোষ্ঠী সংগঠন বৃদ্ধির কাজের সূত্রে অসীম মন্ডলের নাম হয় (আকাশ)। সেই মাওবাদী নেতা আকাশের বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। হুলিয়া জারি করে মাওবাদী নেতা আকাশ ( অসীম মন্ডল) এর বাড়িতে এলো ঝাড়খণ্ড পুলিশ। মঙ্গলবার ঝাড়খন্ড পুলিশের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আদালতের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ফুলচক গ্রামে, মাওবাদী নেতা আকাশ ওরফে অসীম মন্ডল এর বাড়িতে এসেছিলেন।

thebengalpost.net
দেওয়া হল পোস্টার :

এদিন, তাঁরা অসীম মন্ডলের বাড়ি ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় দুইটি নোটিশ জারি করেন, তাতে লেখা এক মাসের মধ্যে আকাশ আত্মসমর্পণ না করলে তাঁর সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। এমনকি, আকাশের খোঁজ দিতে পারলে ১ কোটি টাকা পুরস্কৃত করা হবে। জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামের বাসিন্দা অসীম মন্ডল লেখাপড়ায় মেধাবী ছাত্র ছিল। ৮ এর দশকের প্রথম দিকে তিনি গড়বেতা কলেজের অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করত। আর সেই সময় লেখাপড়ার মাঝপথে রাজনীতিতে যুক্ত হয়। তার পরেই হঠাৎ করে আকাশ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ৯ দশকের দিকে আবার সে চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ৯ এর দশকে সুদীপ চোংদার, অসিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিক গণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে আকাশ। এমনকি ১৯৯৮-২০০০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক রাজনৈতিক মামলায় এদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা হয়। এমনকি সেই সময়, জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর এক মহিলা অণু মাইতি (ওরফে কল্পনা মাইতি)-কে আকাশ বিয়েও করে বলে জানা যায়। ধাপে ধাপে ফুলচক গ্রামের আকাশ মাওবাদীদের একজন প্রথম সারির নেতা হয়ে ওঠে। বর্তমানে, আকাশের শুধু ঝাড়খন্ড নয় এই রাজ্যে একাধিক মামলার আসামি। আর সেই আকাশের খোঁজে একদিকে যেমন ঝাড়খণ্ড পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে, ঠিক তেমনই খোঁজ চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও।