দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ মার্চ: জেলা শহর মেদিনীপুরে দু’দিন ধরে ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ উদযাপন করল ‘স্বর-আবৃত্তি, মেদিনীপুর’। ১৯ ও ২১ মার্চ এই দু’দিন ধরে ছিল নানা কর্মসূচি। ১৯ তারিখ শহরের বিধাননগরে বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে রক্তদান শিবির ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরে এবার রক্তদান করেন ৪৮ জন রক্তদাতা। একই সাথে ছিল আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা। সংস্কৃতির সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি এই সংগঠন মানুষের কাছে নতুন ভাবে পৌঁছে দেয়। ২১ তারিখ অনুষ্ঠানের শুরুতেই হয় আবৃত্তির কর্মশালা। বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তিকার শ্রী রামচন্দ্র পাল এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন। সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবাশিস চক্রবর্তী, কৃশানু আচার্য, স্মৃতি লেখা ভুঁইয়া। সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রামচন্দ্র পালের ছন্দের কবিতা সকলের মন কেড়ে নেয়। ছোটদের আবৃত্তির কোলাজ ছুটি ছুটি, সুকুমার রায়, রৌদ্র সওয়ার, বাংলাদেশ, পাপাঙ্গুল, বোঝাপড়া সকলের নজর কাড়ে। একলব্য থিয়েটার এসোসিয়েশন মঞ্চে পরিবেশন করে কবিতার মঞ্চায়ন যা একেবারেই অন্যরকম। শুভদীপ বসু ও মনীষা বসুর শ্রুতি নাটক ‘মনের দরজা’ও ছিল অনবদ্য।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় অধ্যাপক ড. সালেহা খাতুনের ‘ন্যৈ:শব্দের ফুল’ বইটি।সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’ এর ১০০ বছরকে স্মরণে রেখে স্বর-আবৃত্তি মেদিনীপুর মঞ্চে প্রকাশ করে ‘আবোল-তাবোল’ ক্যাসেটটি। এতে ১১ জন শিল্পী অংশ নেয়। সংস্থার সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পলি পাহাড়ি, শিবানী পাল, সুপর্ণা ব্যানার্জি, শিলা মহাপাত্র, অনিন্দিতা দাস, সুপর্ণা কোলে, সোমা দত্ত, শিল্পী গিরি, রত্না মান্না, পুষ্পিত পাল-দের উপস্থাপিত ভারতবর্ষ ও আঞ্চলিক কবিতার কোলাজ দু’টি মন কেড়ে নেয় সকলের। অনুষ্ঠানে কবিতার সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নটরাজ ডান্স একাডেমি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক বরুণ মন্ডল, ডাক্তার সুহাস রঞ্জন মন্ডল, PMDCCI এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন বসু, সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা, বাচিক শিল্পী অমিয় পাল, মালবিকা পাল, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমেন ঘোষ, কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী, রবীন্দ্র সমিতির সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র ওঝা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন শতাব্দী গোস্বামী। সামগ্রিক অনুষ্ঠান যাঁর পরিচালনায় ও নির্দেশনায় সংঘটিত হলো সেই শুভদীপ বসু বলেন, “আমরা বিগত ৭ বছর ধরেই বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করে আসছি। গত ৩ বছর ধরে অর্থাৎ কোভিডের সময় থেকে এই উপলক্ষে রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করছি। এ বছর রক্তদান করেছেন ৪৮ জন রক্তদাতা। এভাবেই, শুধু কবিতাকে ভালোবেসে বেঁচে থাকতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই।”